হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপি রাজনৈতিকভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনি বলেন, বিএনপি মাত্র ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে। এর মধ্যে তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। বিএনপি আগামীতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানী রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলানায়তনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, বিএনপি তো মাত্র ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে, এতে এই অবস্থা। আর আমরা ২৬ বছর ক্ষমতায় নেই, কিন্তু জনগণের ভালোবাসায় এখনো টিকে আছি। জাতীয় পার্টি এখনও বাংলাদেশে জনপ্রিয় দল।
দেশে এখন সুশাসন নেই অভিযোগ করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে এখন আইনের শাসন নেই বললেই চলে। তাই সাধারণ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। রাজনৈতিক সংকট, রোহিঙ্গা সংকট, খাদ্য সংকট, প্রশাসনিক দুর্বলতা, আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির চরম অবনতি, বিচার বিভাগসহ সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এরশাদ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দেশ নাকি মধ্যম আয়ের দেশ। অথচ শুক্রবার মাত্র তিন টাকার ডিম কেনার জন্য রাজধানীতে যা ঘটল তা দেখে কি মনে হয় দেশ আসলে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত হয়েছে?
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিয়ে এরশাদ বলেন, আপনি যতই কূটনৈতিক তৎপরতা চালান না কেন, মনে হয় না তারা আর ফিরে যেতে পারবে বা মিয়ানমার ফেরত নেবে। তাই আমি অনুরোধ করব, তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি জাতীয় পার্টির সাহায্য প্রয়োজন হয়, আমরা সাধ্যমতো সাহায্য করব।
‘মিয়ানমার সেনাপ্রধান বলেছেন রোহিঙ্গারা নাকি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার গেছে, তারা বাঙালি। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পর মনে হয় না রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে পাঠানো যাবে’ এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেন এরশাদ।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, তোমরা আমার নয় বছরের শাসনামলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জণগণের কাছে তুলে ধরো না। অথচ আমার কাজের প্রশংসা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা। তাদের প্রশংসা শুনে আমি অভিভূত হয়েছি। তারা সরকারি উচ্চপদে থেকেও আমার প্রশংসা করেছেন।
এরশাদ বলেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। কিন্তু তোমরা মনে রেখো ক্ষমতা কেউ হাত তুলে দেবে না, ক্ষমতা আদায় করে নিতে হবে। এজন্য দলকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে।
দলের যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজুর পরিচালনায় যৌথসভায় বক্তব্য রাখেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, অধ্যাপক দোলোয়ার হোসেন, জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, শেখ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সুনীল শুভ রায়, ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, এটিইউএম তাজ রহমান, মেজর অব. খালেদ আখতার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল আলম রুবেল, শফিকুল ইসলাম মধু, মহসিন উল হাবলু, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।