ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসল্যান্ডে শান্তির দেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭
  • ৪১৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘বিশ্বশান্তি ও সহিংসতার’ সূচকে ‘শান্তির দেশ’ আইসল্যান্ড। সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার উচ্চমান, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোনো বিবাদে না জড়ানো ও নিম্ন সামরিক ব্যয় দেশটিকে মর্যাদাশীল অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

আইসল্যান্ড বিশ্বের সেই বিরল দেশগুলোর একটি যে দেশে কোনো সেনাবাহিনী নেই। কোস্ট গার্ড ও দেশের জলভাগ ও আকাশপথ পাহারা দেয়ার জন্য কয়েকটি জাহাজ- এই হল দেশটির সামরিক বাহিনী। এই দেশটিই আবার নেটো নিরাপত্তা জোটের সদস্য। বার্ষিক জিডিপির মাত্র দশমিক ১৩ শতাংশ সামরিক বাহিনীর পেছনে ব্যয় করে দেশটি।

ক্ষুদ্র নর্ডিক এদেশের নাম শুনলেই এর আবহাওয়া সম্পর্কে একটা ধারণা লাভ করা যায়। এটি বরফের দেশ। এ দেশের সাধারণ তাপমাত্রা প্রায় সব সময়ই থাকে বরফবিন্দুর নিচে। এ দেশের শীতকালটা হয় ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি।

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে নিজেদের সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দিয়েছে আইসল্যান্ড দল। আইসল্যান্ড নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে।

আইসল্যান্ডের সমুদ্র উপকূল প্রায় সারা বছর ধরে জাহাজ ভেড়ার জন্য উন্মুক্ত থাকে। কেবল শীতকালে মেরুদেশীয় অঞ্চল থেকে আগত ভাসমান বরফের কারণে দেশের উত্তর ও পূর্বের বন্দরগুলি বন্ধ রাখতে হয়। দেশটিতে কৃষি ও খনিজ সম্পদ খুব কম। দ্বীপের তিন-চতুর্থাংশই উদ্ভিদ জন্মানোর অযোগ্য। উদ্ভিজ্জের মধ্যে তৃণভূমি প্রধান, যেখানে ভেড়া, গবাদি পশু ও শক্তসমর্থ আইসল্যান্ডীয় ঘোড়া পালন করা হয়।

দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রে বিভিন্ন জাতের মাছ পাওয়া যায় এবং মৎস্যশিকার এখানকার লোকদের আদি ও প্রধান পেশা। বর্তমানে আইসল্যান্ডের রপ্তানির অর্ধেকই মাছ ধরা ও মাছ প্রক্রিয়াকরণ খাত থেকে আসে। শহরের আইসল্যান্ডীয়দের অধিকাংশ নিজেদের দেশকে একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে মনে করতেই পছন্দ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আইসল্যান্ডে শান্তির দেশ

আপডেট টাইম : ১১:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘বিশ্বশান্তি ও সহিংসতার’ সূচকে ‘শান্তির দেশ’ আইসল্যান্ড। সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার উচ্চমান, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোনো বিবাদে না জড়ানো ও নিম্ন সামরিক ব্যয় দেশটিকে মর্যাদাশীল অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

আইসল্যান্ড বিশ্বের সেই বিরল দেশগুলোর একটি যে দেশে কোনো সেনাবাহিনী নেই। কোস্ট গার্ড ও দেশের জলভাগ ও আকাশপথ পাহারা দেয়ার জন্য কয়েকটি জাহাজ- এই হল দেশটির সামরিক বাহিনী। এই দেশটিই আবার নেটো নিরাপত্তা জোটের সদস্য। বার্ষিক জিডিপির মাত্র দশমিক ১৩ শতাংশ সামরিক বাহিনীর পেছনে ব্যয় করে দেশটি।

ক্ষুদ্র নর্ডিক এদেশের নাম শুনলেই এর আবহাওয়া সম্পর্কে একটা ধারণা লাভ করা যায়। এটি বরফের দেশ। এ দেশের সাধারণ তাপমাত্রা প্রায় সব সময়ই থাকে বরফবিন্দুর নিচে। এ দেশের শীতকালটা হয় ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি।

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে নিজেদের সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দিয়েছে আইসল্যান্ড দল। আইসল্যান্ড নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে।

আইসল্যান্ডের সমুদ্র উপকূল প্রায় সারা বছর ধরে জাহাজ ভেড়ার জন্য উন্মুক্ত থাকে। কেবল শীতকালে মেরুদেশীয় অঞ্চল থেকে আগত ভাসমান বরফের কারণে দেশের উত্তর ও পূর্বের বন্দরগুলি বন্ধ রাখতে হয়। দেশটিতে কৃষি ও খনিজ সম্পদ খুব কম। দ্বীপের তিন-চতুর্থাংশই উদ্ভিদ জন্মানোর অযোগ্য। উদ্ভিজ্জের মধ্যে তৃণভূমি প্রধান, যেখানে ভেড়া, গবাদি পশু ও শক্তসমর্থ আইসল্যান্ডীয় ঘোড়া পালন করা হয়।

দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রে বিভিন্ন জাতের মাছ পাওয়া যায় এবং মৎস্যশিকার এখানকার লোকদের আদি ও প্রধান পেশা। বর্তমানে আইসল্যান্ডের রপ্তানির অর্ধেকই মাছ ধরা ও মাছ প্রক্রিয়াকরণ খাত থেকে আসে। শহরের আইসল্যান্ডীয়দের অধিকাংশ নিজেদের দেশকে একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে মনে করতেই পছন্দ করেন।