হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাটের আরেক নাম সোনালী আঁশ। দরপতনের কারণে বর্তমানে সেই পাট এখন চাষিদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার পাটের বাজারদর নিম্নমুখি হবার কারণে পাট বিক্রি করতে না পেরে কৃষকরা মহাবিপাকে পড়েছেন। এদিকে এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কমদামে পাট ক্রয় করছেন এবং কৃষকরা আর্থিকভাবে চরম তিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিঘাপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে বলে অনেক কৃষক দাবি করেন। একবিঘা জমিতে পাট চাষ করে ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। এদিকে পাটের উৎপাদন কম হওয়ায় প্রতিবিঘা জমিতে ৬ থেকে ৭ মণ পাট পাওয়া গেছে। বর্তমান পাটের দর ত্রেবিশেষে ৮ থেকে ১২ শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হানুয়ার গ্রামের পাটচাষি আতিয়ার ও আলম জানান, এবার পাট চাষের মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে েেত প্রচুর আগাছা ও পোকার আক্রমণে পাট গাছ লম্বা হতে পারেনি। যে কারণে উৎপাদন কম হয়েছে। এছাড়া চড়ামূল্যে মজুরি ক্রয় করে পাটকাটা ও আঁশ ছাড়ানো হয়েছে। এ জন্য পাট চাষে এবার অধিক খরচ হয়েছে এবং চাষিরা আর্থিকভাবে তিগ্রস্ত হয়েছেন।
রাজগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী রজরুল ইসলাম জানান, কৃষকরা যেমন পাট বিক্রি করে বিপদে পড়েছেন, তেমনি আমরাও পাট ক্রয় করে বিক্রি করার জন্য জায়গা পাচ্ছি না। এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলার পাট চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমি। কিন্তু ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৫ হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জানান, কৃষকরা ইরি ধান কাটার পর ওই জমিতে পাট চাষ করেছিলেন।
সংবাদ শিরোনাম
রাজগঞ্জে সোনালী আঁশ পাট চাষিদের এখন গলার ফাঁস
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ০৯:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭
- ৫৪৯ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ