ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্মঘাতি হতে না চাইলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে: মেনন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৬৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আত্মঘাতি হতে না চাইলে নির্বাচনে আসাটাই হবে বিএনপির জন্য সবচেয়ে উপযোগী সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আজ পার্টির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলসহ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে সংলাপে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ বহাল রেখে বর্তমান সরকারের অধীনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বিএনপি নির্বাচনে আসবে এবং তারা যদি আত্মঘাতি হতে না চান তাহলে নির্বাচনে আসাটাই হবে তাদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী সিদ্ধান্ত।’

কমিশনের সাথে সংলাপে পার্টির পক্ষে ১৪দফা প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার দৈনন্দিন কার্যাবলী ছাড়া নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনস্ত থাকবে।’

তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের কোন প্রয়োজন নেই। তবে একান্ত প্রয়োজনে ইসি আইনশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে কোন কোন ক্ষেত্রে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তাকারী বাহিনী হিসেবে অর্থাৎ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়োগ করতে পারবেন।

আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ, ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি ভোট গ্রহণে ‘ব্যালট পেপারে’র পাশাপাশি ইভিএম প্রচলনের পক্ষপাতি। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় অন্তত একটি করে কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ করার জন্য ইসির কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

দলের উপস্থাপিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-নির্বাচন পরিচালনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনের পূর্বে ও পরে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। এই সময়ে তাদের কৃত কোনো অপরাধ ও কর্তব্যে অবহেলার জন্য নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে এবং সরকার তা বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, যুদ্ধাপরাধে জড়িত এবং ধর্মকে ব্যবহারকারী কোন দলকে নিবন্ধন না করা, আগামী নির্বাচনের আগে সীমানা পুন:নির্ধারণ না করা, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর গ্রহণের শর্ত বাতিল করা, নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করা, জামানত ২০ হাজারের পরিবর্তে ১০ হাজার করা, নির্বাচনকে সন্ত্রাস ও পেশি শক্তির মুক্ত করা, নির্বাচনে ধর্ম ও সা¤প্রদায়িকতার ব্যবহার বন্ধ করা, নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ সৃষ্টি করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মেনন জানান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মত বিনিময় করেছে ইসি। ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় শুরু হয়েছে। আজ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপের সাথেও সংলাপে বসে কমিশন। কমিশন এ পর্যন্ত ৩০টি দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে।

আগামীকাল ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বিকেল ৩টায় গণতন্ত্রী পার্টির সাথে কমিশন সংলাপে বসবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আত্মঘাতি হতে না চাইলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে: মেনন

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আত্মঘাতি হতে না চাইলে নির্বাচনে আসাটাই হবে বিএনপির জন্য সবচেয়ে উপযোগী সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আজ পার্টির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলসহ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে সংলাপে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ বহাল রেখে বর্তমান সরকারের অধীনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বিএনপি নির্বাচনে আসবে এবং তারা যদি আত্মঘাতি হতে না চান তাহলে নির্বাচনে আসাটাই হবে তাদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী সিদ্ধান্ত।’

কমিশনের সাথে সংলাপে পার্টির পক্ষে ১৪দফা প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার দৈনন্দিন কার্যাবলী ছাড়া নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনস্ত থাকবে।’

তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের কোন প্রয়োজন নেই। তবে একান্ত প্রয়োজনে ইসি আইনশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে কোন কোন ক্ষেত্রে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তাকারী বাহিনী হিসেবে অর্থাৎ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়োগ করতে পারবেন।

আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ, ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি ভোট গ্রহণে ‘ব্যালট পেপারে’র পাশাপাশি ইভিএম প্রচলনের পক্ষপাতি। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় অন্তত একটি করে কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ করার জন্য ইসির কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

দলের উপস্থাপিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-নির্বাচন পরিচালনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনের পূর্বে ও পরে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। এই সময়ে তাদের কৃত কোনো অপরাধ ও কর্তব্যে অবহেলার জন্য নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে এবং সরকার তা বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, যুদ্ধাপরাধে জড়িত এবং ধর্মকে ব্যবহারকারী কোন দলকে নিবন্ধন না করা, আগামী নির্বাচনের আগে সীমানা পুন:নির্ধারণ না করা, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর গ্রহণের শর্ত বাতিল করা, নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করা, জামানত ২০ হাজারের পরিবর্তে ১০ হাজার করা, নির্বাচনকে সন্ত্রাস ও পেশি শক্তির মুক্ত করা, নির্বাচনে ধর্ম ও সা¤প্রদায়িকতার ব্যবহার বন্ধ করা, নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ সৃষ্টি করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মেনন জানান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মত বিনিময় করেছে ইসি। ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় শুরু হয়েছে। আজ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপের সাথেও সংলাপে বসে কমিশন। কমিশন এ পর্যন্ত ৩০টি দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে।

আগামীকাল ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বিকেল ৩টায় গণতন্ত্রী পার্টির সাথে কমিশন সংলাপে বসবে।