পুরুষ সিক্লিড মাছের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এরা তাদের সঙ্গী নির্বাচন করে বেশ খানিকটা ভেবে। সুদর্শনা না হলে সাধারণত এরা নারী মাছকে পাত্তাই দিতে চায় না। যে কারণে নারী মাছগুলো স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুবই সচেতন।
অবাক লাগলেও এমন প্রমাণই মিলেছে গবেষকদের হাতে।
এই প্রথম বারের মতো গবেষকরা এমন মাছের সন্ধান পেয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ মাছ সঙ্গী নির্ধারণের ক্ষেত্রে নারী মাছের শরীরের আকার থেকে শুরু করে আনুসাঙ্গিক অন্যান্য বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
জার্মানির দ্য ইউনিভার্সিটি অব বন-এর গবেষক সেবাস্টেন বালডফ এবং তার দল আফ্রিকায় নারী সিক্লিড মাছের ওপর গবেষণা চালায়।
তিনি বলেন, এই মাছের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পুরুষ মাছ তার সঙ্গী পছন্দ করে নারী মাছ দেখতে কেমন তার ওপর ভিত্তি করে। সাধারণত লম্বা আকৃতির শরীর, পাখনার রঙ, লেজের রঙ এবং শরীরের রঙের সঙ্গে পুরুষ মাছের মিল রয়েছে কিনা এসব বিবেচনায় থাকে সঙ্গী নির্ধারণের ক্ষেত্রে।
সেবাস্টেন বলেন, সবকিছু বিবেচনা করার পরেই পুরুষ মাছ নারী মাছটির সঙ্গী হয়। যে কারণে নারী মাছগুলোও স্বাস্থ্য সচেতন হয়।
সম্প্রতি বিএমসি এভুলুশোনারি বায়লোজি নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান গবেষকরা।