ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হার্টকে ভালো রাখার প্রাকৃতিক মহৌষধি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২৭৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হার্টকে সুস্থ রাখবেন কিভাবে? এ ক্ষেত্রে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন তো করতেই হবে। সেই সঙ্গে একটি প্রাকৃতিক মহৌষধিকেও কাজে লাগালে দারুণ উপকার মিলতে পারে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি হার্টকে চাঙা রাখার পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কোন প্রকৃতিক উপাদানের কথা বলছি, তাই জানতে ইচ্ছা করছে তো? দাঁড়ান দাঁড়ান বলছি! একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সূর্যমুখী ফুলের বীজের অন্দরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সূর্যমুখী ফুলের বীজের সঙ্গে চটজলদি বন্ধুত্ব করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিভাবে এই প্রাকৃতিক উপাদানটা হার্টের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে?

১. হার্টের ক্ষতি করবে এমন উপাদানদের দূরে রাখে
সূর্যমুখী ফুলের বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই এবং ফলেট। এই দুটি উপাদান শরীরের অন্দরে অনেকটা পাহারাদারের কাজ করে। হার্টের ক্ষতি করবে এমন উপাদানদের এরা দূরে রাখে। ফলে হৃদপিণ্ডের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

২. ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো শরীরে যাতে কোনোভাবে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।

৩. ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দূর করে
শরীরে এই খনিজটির ঘাটতি দেখা দিলে হার্টের তো ক্ষতি হয়ই। সেই সঙ্গে নার্ভ এবং ইমিউন সিস্টেমের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ফলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ এসে বাসা বাঁধে দেহে। এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিকবাবেই আয়ু কমতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতির শিকার নিশ্চয় আপনি হতে চান না? তাহলে বয়স ২৫ পেরুলেই নিয়মিত সূর্যমুখী ফুলের বীজ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৪. মন ভালো করে দেয়
কাজের চাপে দম বেরিয়ে যাওয়ার যোগাড়? সেই সঙ্গে মেজাজটাও কেমন যেন বেতালে বাজছে? তাহলে আর সময় নষ্ট না করে বাজার থেকে এক্ষুনি সূর্যমুখী ফুলের বীজ কিনে এনে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির শরীরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. থাইরয়েড রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে
সূর্যমুখী ফুলের বীজে রয়েছে সেলেনিয়াম নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের অন্দরে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়, সেই সঙ্গে থাইরয়েডের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।

কিভাবে খেতে হবে এই বীজ?
অল্প পরিমাণ সূর্যমুখী বীজ নিয়ে তাওয়ায় হালকা মাখনের সাহায্যে ভেজে নিয়ে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন অথবা এমনি এমনিও চলতে পারে। প্রসঙ্গত, সাধারণ মাখন যদি খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে পিনাট বাটারও ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র : বোল্ডস্কাই

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হার্টকে ভালো রাখার প্রাকৃতিক মহৌষধি

আপডেট টাইম : ০৪:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হার্টকে সুস্থ রাখবেন কিভাবে? এ ক্ষেত্রে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন তো করতেই হবে। সেই সঙ্গে একটি প্রাকৃতিক মহৌষধিকেও কাজে লাগালে দারুণ উপকার মিলতে পারে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি হার্টকে চাঙা রাখার পাশাপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কোন প্রকৃতিক উপাদানের কথা বলছি, তাই জানতে ইচ্ছা করছে তো? দাঁড়ান দাঁড়ান বলছি! একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সূর্যমুখী ফুলের বীজের অন্দরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সূর্যমুখী ফুলের বীজের সঙ্গে চটজলদি বন্ধুত্ব করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিভাবে এই প্রাকৃতিক উপাদানটা হার্টের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে?

১. হার্টের ক্ষতি করবে এমন উপাদানদের দূরে রাখে
সূর্যমুখী ফুলের বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই এবং ফলেট। এই দুটি উপাদান শরীরের অন্দরে অনেকটা পাহারাদারের কাজ করে। হার্টের ক্ষতি করবে এমন উপাদানদের এরা দূরে রাখে। ফলে হৃদপিণ্ডের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

২. ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো শরীরে যাতে কোনোভাবে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন।

৩. ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি দূর করে
শরীরে এই খনিজটির ঘাটতি দেখা দিলে হার্টের তো ক্ষতি হয়ই। সেই সঙ্গে নার্ভ এবং ইমিউন সিস্টেমের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ফলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ এসে বাসা বাঁধে দেহে। এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিকবাবেই আয়ু কমতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতির শিকার নিশ্চয় আপনি হতে চান না? তাহলে বয়স ২৫ পেরুলেই নিয়মিত সূর্যমুখী ফুলের বীজ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৪. মন ভালো করে দেয়
কাজের চাপে দম বেরিয়ে যাওয়ার যোগাড়? সেই সঙ্গে মেজাজটাও কেমন যেন বেতালে বাজছে? তাহলে আর সময় নষ্ট না করে বাজার থেকে এক্ষুনি সূর্যমুখী ফুলের বীজ কিনে এনে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির শরীরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. থাইরয়েড রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে
সূর্যমুখী ফুলের বীজে রয়েছে সেলেনিয়াম নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের অন্দরে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়, সেই সঙ্গে থাইরয়েডের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।

কিভাবে খেতে হবে এই বীজ?
অল্প পরিমাণ সূর্যমুখী বীজ নিয়ে তাওয়ায় হালকা মাখনের সাহায্যে ভেজে নিয়ে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন অথবা এমনি এমনিও চলতে পারে। প্রসঙ্গত, সাধারণ মাখন যদি খেতে ইচ্ছা না করে, তাহলে পিনাট বাটারও ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র : বোল্ডস্কাই