হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার চানখালী খাল অবৈধভাবে দখল করে ধানের চারা রোপণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালের আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভরাট করায় জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
জানা যায়, এক সময় ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের মাধ্যমে বাঁশখালী থেকে এ খাল হয়ে কাঁচা লবণ পটিয়া ইন্দ্রপুল লবণ শিল্প কারখানায় আসতো। চানখালী ও কেরিঞ্জা খালের কয়েকটি পয়েন্ট ভরাট হয়ে যাওয়ায় কাঁচা লবণের ট্রলার এখন আর পটিয়ায় আসতে পারে না। চলতি বর্ষা মওসুমে পাহাড়ি ঢলে চানখালী খালের ভাটিখাইন অংশে ভরে গেলে তা প্রকাশ্যে দখল করে ধানের চারা রোপণ শুরু হয়।
উপজেলার উত্তর ছনহরা গ্রামের মরহুম আকবর আলীর ছেলে আবুল হাশেম শ্রমিক দিয়ে খালে ধানের চারা রোপণ করতে থাকেন অভিযোগ ওঠে। ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে চানখালী খাল ও শ্রীমতি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি কেটে নেওয়া হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চানখালী খালের উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ঠেগঁরপুনি বৌদ্ধ বিহারের পশ্চিম-উত্তরে খালের আধা কিলোমিটার এলাকা অবৈধভাবে দখল করে ধানের চারা রোপণ করছে উপজেলার ছনহরা গ্রামের আবুল হাশেম নামের একব্যক্তি। ছনহরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, অবৈধভাবে চানখালী খাল ও খালের পাশের জমি কেটে নেওয়ায় তিনি এবার চাষাবাদ করতে পারেনি। তার ৩৬ শতক জায়গার মধ্যে মাত্র আট শতক জায়গা রয়েছে। বাকি জায়গা স্কেবেটর দিয়ে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। যার কারণে জমি ও খাল একাকার। খাল দখল করে ধানের চারা রোপণের বিষয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।
তবে অভিযুক্ত দখলকারী আবুল হাশেম বলেন, তিনি জায়গার খতিয়ানভুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে খাজনা দিয়ে ধানের চারা রোপণ করছেন। খাল ভরাট হওয়ায় সেখানে তিনি ধানের চারা রোপণ করছেন। ভাটিখাইন ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবে বলার পরও অবৈধভাবে খাল দখল করে ধানের চারা রোপণ বন্ধ না হওয়ায় তিনি ইউএনওকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অবৈধভাবে জোয়ার-ভাটার খাল দখল করে আমন ধানের চারা রোপণের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তা শীঘ্রই খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।