ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের জন্য চালু হচ্ছে ৮টি লঙ্গরখানা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৪২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাবার নিশ্চিতের জন্য কক্সবাজারে চালু করা হচ্ছে আটটি লঙ্গরখানা।

মঙ্গলবার থেকে উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং এলাকায় গড়ে ওঠা নতুন বস্তিতে এসব লঙ্গরখানা খোলা হচ্ছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের রোহিঙ্গা সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদ।

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে চালু হতে যাওয়া এসব লঙ্গরখানায় রান্না করা খাবার কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ১২টি স্থান থেকে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এডিএম খালেদ মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার জেরে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্রোত এখনো অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার জরিপে এরই মধ্যে সীমান্তের এপাড়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত চার লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ও প্রশাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, চাহিদার চেয়ে অপ্রতুল হলেও মানবিক সংকট ও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে জরুরি ভিত্তিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রশাসন লঙ্গরখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বালুখালী ও কুতুপালং এলাকায় চালু করা হবে আটটি লঙ্গরখানা। এতে রান্না করা খাবার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়া ১২টি স্থানে বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সবাইকে যতদিন পর্যন্ত ত্রাণের আওতায় আনা সম্ভব না হবে ততদিন পর্যন্ত এসব লঙ্গরখানা চালু থাকবে বলে জানান এডিএম খালেদ মাহমুদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোহিঙ্গাদের জন্য চালু হচ্ছে ৮টি লঙ্গরখানা

আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাবার নিশ্চিতের জন্য কক্সবাজারে চালু করা হচ্ছে আটটি লঙ্গরখানা।

মঙ্গলবার থেকে উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং এলাকায় গড়ে ওঠা নতুন বস্তিতে এসব লঙ্গরখানা খোলা হচ্ছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের রোহিঙ্গা সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদ।

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে চালু হতে যাওয়া এসব লঙ্গরখানায় রান্না করা খাবার কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ১২টি স্থান থেকে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এডিএম খালেদ মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার জেরে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্রোত এখনো অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার জরিপে এরই মধ্যে সীমান্তের এপাড়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত চার লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ও প্রশাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, চাহিদার চেয়ে অপ্রতুল হলেও মানবিক সংকট ও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে জরুরি ভিত্তিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রশাসন লঙ্গরখানা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বালুখালী ও কুতুপালং এলাকায় চালু করা হবে আটটি লঙ্গরখানা। এতে রান্না করা খাবার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়া ১২টি স্থানে বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সবাইকে যতদিন পর্যন্ত ত্রাণের আওতায় আনা সম্ভব না হবে ততদিন পর্যন্ত এসব লঙ্গরখানা চালু থাকবে বলে জানান এডিএম খালেদ মাহমুদ।