ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাছতলায় পাঠদান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৩০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যালয়টির একটি মাত্র ভবন। ভবনটি ৫ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ছোট একটি টিনের ঘরে চলে বিদ্যালয়টির দাপ্তরিক কাজ। শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে গাছের নিচে। একটু বৃষ্টি হলেই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে বাধ্য হন। এসব কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১১৭নং নলুয়া ফিডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালে এই বিদ্যালয়টিতে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর যেতে না যেতেই ভবনটির ছাদসহ দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়তে থাকে। এরই মধ্যে দিয়ে চলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ২০১২ সালে ভবনটি পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। বর্তমানে এই বিদ্যালয়টিতে ৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে বছরের শুরুতে বিদ্যালয়টিতে ৮৫ জন শিক্ষার্থী ছিল। ভবন না থাকার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ কান্তি মজুমদার। তিনি বলেন, ১৬৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল। যত দিন ভবন ছিল তত দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ঠিক ছিল। বর্তমানে ভবন না থাকার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ভবনের অভাবে আমরা গাছের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি। একটি সংস্থার নির্মাণ করা টিনের ঘরে আমরা বিদ্যালয়টির দাপ্তরিক কাজ করছি। বিদ্যালয়টির সভাপতি বরেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, শুধু ভবন সংকটই নয়। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকটও রয়েছে। ৫টি পদের মধ্যে বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৩ জন শিক্ষক রয়েছে। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়টিতে ভবন নির্মাণ ও শিক্ষক সংকটের সমাধান চাচ্ছি। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রমি মজুমদার ও মিলন হালদার বলেন, ভবনের অভাবে আমাদের গাছের নিচে ক্লাস করতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই বাধ্য হয়ে স্যাররা আমাদের  ছুটি দিয়ে দেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালে বিদ্যালয়টির ভবন চেয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। আশাকরি খুব শিগগিরই ভবনটি পাস হবে। এ ছাড়া আপাতত পাঠদানের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে দুই লাখ টাকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নিকট দেয়া হয়েছে। যে টাকা দিয়ে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গাছতলায় পাঠদান

আপডেট টাইম : ০৪:১৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিদ্যালয়টির একটি মাত্র ভবন। ভবনটি ৫ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ছোট একটি টিনের ঘরে চলে বিদ্যালয়টির দাপ্তরিক কাজ। শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে গাছের নিচে। একটু বৃষ্টি হলেই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে বাধ্য হন। এসব কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১১৭নং নলুয়া ফিডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালে এই বিদ্যালয়টিতে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর যেতে না যেতেই ভবনটির ছাদসহ দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়তে থাকে। এরই মধ্যে দিয়ে চলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ২০১২ সালে ভবনটি পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। বর্তমানে এই বিদ্যালয়টিতে ৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে বছরের শুরুতে বিদ্যালয়টিতে ৮৫ জন শিক্ষার্থী ছিল। ভবন না থাকার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ কান্তি মজুমদার। তিনি বলেন, ১৬৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করেছিল। যত দিন ভবন ছিল তত দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ঠিক ছিল। বর্তমানে ভবন না থাকার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ভবনের অভাবে আমরা গাছের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি। একটি সংস্থার নির্মাণ করা টিনের ঘরে আমরা বিদ্যালয়টির দাপ্তরিক কাজ করছি। বিদ্যালয়টির সভাপতি বরেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, শুধু ভবন সংকটই নয়। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকটও রয়েছে। ৫টি পদের মধ্যে বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৩ জন শিক্ষক রয়েছে। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়টিতে ভবন নির্মাণ ও শিক্ষক সংকটের সমাধান চাচ্ছি। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রমি মজুমদার ও মিলন হালদার বলেন, ভবনের অভাবে আমাদের গাছের নিচে ক্লাস করতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই বাধ্য হয়ে স্যাররা আমাদের  ছুটি দিয়ে দেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালে বিদ্যালয়টির ভবন চেয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। আশাকরি খুব শিগগিরই ভবনটি পাস হবে। এ ছাড়া আপাতত পাঠদানের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে দুই লাখ টাকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নিকট দেয়া হয়েছে। যে টাকা দিয়ে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।