ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের ভুপালে যাচ্ছেন ৪০ বিচারক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৩৪৫ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিচারিক প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাচ্ছেন ৪০ জন বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের ভুপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমিতে তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নিম্ন আদালতে কর্মরত ৩৪ জন সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজকে প্রশিক্ষণে পাঠানোর জন্য মনোনীত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকি ছয়জন মনোনীত হবেন সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেষণে থাকা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ দিনের জন্য প্রথম ব্যাচের এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ২৬ অক্টোবর বিচারকরা দেশে ফিরবেন।
এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ হাওর বার্তাকে বলেন, ভারত কমন ল ভুক্ত দেশ। ভারতে প্রচলিত প্রধান প্রধান আইনগুলির সাথে আমাদের দেশে প্রচলিত প্রধান প্রধান আইনগুলির পার্থক্য সামান্য। আমাদের দেশের বিভিন্ন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নজির হিসেবে প্রায়শই ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত উদ্ধৃত করে থাকেন। ভারতে প্রশিক্ষণসূচিতে ৩০টিরও অধিক বিষয় অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। প্রশিক্ষণকালে বিভিন্ন বিষয়ে বিচারকরা যে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করবেন তা কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ভুপাল একাডেমি কর্তৃপক্ষ আরো তিনটি ব্যাচ পাঠানোর শিডিউল আমাদেরকে দিয়ে রেখেছেন। এখন পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকদের মনোনীত করে ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে। এর ফলে যে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে তাতে উভয়পক্ষই লাভবান হবেন।
ইতিপূর্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বিচারকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে এক সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে ভারতের ভুপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। ওই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হতে ৪০ জন বিচারকের প্রথম ব্যাচ প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাচ্ছেন।
সেখানে বিচারকদের আদালত ও মামলা ব্যবস্থাপনা; সাক্ষ্য নীতি:দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাসূমহ; ইলেকট্রনিক সাক্ষ্য: নতুন দিগন্ত, সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং মূল্যায়ন; দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারে ফরেনসিক সাক্ষ্য: ডিএনএ রূপরেখা; ফৌজদারি বিচার প্রশাসন এবং মানবাধিকার; মানবাধিকার: সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত; আইসিটি এবং ই-জুডিশিয়ারি: ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিত; ভারতের যুগান্তকারী রায়সূমহ; ফৌজদারি মামলাসূমহে বিচারের প্রক্রিয়া; আইনের বিজ্ঞান ও দর্শনে পারিপাশ্বিক সাক্ষ্য; নিষেধাজ্ঞা:আইন ও চর্চা; বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ইত্যাদি বিষয়সূমহের উপর প্রশিক্ষণ দেবেন সেদেশের বিচারক ও আইনজ্ঞরা।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের ভুপালে যাচ্ছেন ৪০ বিচারক

আপডেট টাইম : ০৭:২০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিচারিক প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাচ্ছেন ৪০ জন বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের ভুপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমিতে তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নিম্ন আদালতে কর্মরত ৩৪ জন সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজকে প্রশিক্ষণে পাঠানোর জন্য মনোনীত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকি ছয়জন মনোনীত হবেন সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেষণে থাকা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ দিনের জন্য প্রথম ব্যাচের এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ২৬ অক্টোবর বিচারকরা দেশে ফিরবেন।
এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. সাব্বির ফয়েজ হাওর বার্তাকে বলেন, ভারত কমন ল ভুক্ত দেশ। ভারতে প্রচলিত প্রধান প্রধান আইনগুলির সাথে আমাদের দেশে প্রচলিত প্রধান প্রধান আইনগুলির পার্থক্য সামান্য। আমাদের দেশের বিভিন্ন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নজির হিসেবে প্রায়শই ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত উদ্ধৃত করে থাকেন। ভারতে প্রশিক্ষণসূচিতে ৩০টিরও অধিক বিষয় অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। প্রশিক্ষণকালে বিভিন্ন বিষয়ে বিচারকরা যে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করবেন তা কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ভুপাল একাডেমি কর্তৃপক্ষ আরো তিনটি ব্যাচ পাঠানোর শিডিউল আমাদেরকে দিয়ে রেখেছেন। এখন পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকদের মনোনীত করে ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে। এর ফলে যে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে তাতে উভয়পক্ষই লাভবান হবেন।
ইতিপূর্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বিচারকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে এক সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে ভারতের ভুপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। ওই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হতে ৪০ জন বিচারকের প্রথম ব্যাচ প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাচ্ছেন।
সেখানে বিচারকদের আদালত ও মামলা ব্যবস্থাপনা; সাক্ষ্য নীতি:দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাসূমহ; ইলেকট্রনিক সাক্ষ্য: নতুন দিগন্ত, সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং মূল্যায়ন; দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারে ফরেনসিক সাক্ষ্য: ডিএনএ রূপরেখা; ফৌজদারি বিচার প্রশাসন এবং মানবাধিকার; মানবাধিকার: সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত; আইসিটি এবং ই-জুডিশিয়ারি: ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিত; ভারতের যুগান্তকারী রায়সূমহ; ফৌজদারি মামলাসূমহে বিচারের প্রক্রিয়া; আইনের বিজ্ঞান ও দর্শনে পারিপাশ্বিক সাক্ষ্য; নিষেধাজ্ঞা:আইন ও চর্চা; বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ইত্যাদি বিষয়সূমহের উপর প্রশিক্ষণ দেবেন সেদেশের বিচারক ও আইনজ্ঞরা।