ঢাকা ০১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার রিট শুনানি আজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২৯৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৯নং আদালতে ফেলানী হত্যা বিষয়ে ফেলানীর বাবার করা রিট মামলার শুনানি শুক্রবার। বিচারপতি রামায়ণ ও বিচাপতি অমিতাভ রায়ের যৌথ  রিট শুনানির এ দিন ধার্য রয়েছে। মামলাটি তালিকার ২৪ নম্বরে আছে।

এ মামলায় ফেলানীর বাবাকে সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাবার সঙ্গে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পার হতে গিয়ে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী। দেশ ও বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে একে একে দুবার বিএসএফ তার নিজস্ব আদালতে বিচারের মুখোমুখি করে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে। কিন্তু দু’বারই খালাস পেয়ে যান অমিয় ঘোষ।

ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মে র সহায়তায় ফেলানী হত্যার বিচার ও ক্ষতিপুরণ চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। পরে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আবেদনটি গ্রহণ করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সংস্থাকে কারণে দর্শানোর নির্দেশ দেয়। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি অনন্তপুর সীমান্তে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নং- ৯৪৭ এর কাছে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে ফেলানী খাতুনের নির্মমভাবে মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর বিএসএফ তার আদালতে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ গঠন করে। ২ বছর ৮ মাস পর ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন বিএসএফ এর আদালত।

তবে সেই রায় যথার্থ মনে করেনি বিএসএফ মহাপরিচালক। তিনি রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর ২ জুলাই ২০১৫ বিএসএফ কোর্ট অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে আবারও নির্দোষ বলে পুনরায় রায় দেন। এ ব্যাপারে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা মাসুমকে উচ্চ আদালতে মামলাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা ম  (মাসুম) ভারতের সুপ্রীম কোর্টে ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই একটি রিট মামলা দায়ের করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যার রিট শুনানি আজ

আপডেট টাইম : ০৬:৩২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৯নং আদালতে ফেলানী হত্যা বিষয়ে ফেলানীর বাবার করা রিট মামলার শুনানি শুক্রবার। বিচারপতি রামায়ণ ও বিচাপতি অমিতাভ রায়ের যৌথ  রিট শুনানির এ দিন ধার্য রয়েছে। মামলাটি তালিকার ২৪ নম্বরে আছে।

এ মামলায় ফেলানীর বাবাকে সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাবার সঙ্গে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পার হতে গিয়ে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী। দেশ ও বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে একে একে দুবার বিএসএফ তার নিজস্ব আদালতে বিচারের মুখোমুখি করে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে। কিন্তু দু’বারই খালাস পেয়ে যান অমিয় ঘোষ।

ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মে র সহায়তায় ফেলানী হত্যার বিচার ও ক্ষতিপুরণ চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। পরে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আবেদনটি গ্রহণ করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি সংস্থাকে কারণে দর্শানোর নির্দেশ দেয়। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি অনন্তপুর সীমান্তে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নং- ৯৪৭ এর কাছে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে ফেলানী খাতুনের নির্মমভাবে মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর বিএসএফ তার আদালতে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ গঠন করে। ২ বছর ৮ মাস পর ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন বিএসএফ এর আদালত।

তবে সেই রায় যথার্থ মনে করেনি বিএসএফ মহাপরিচালক। তিনি রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর ২ জুলাই ২০১৫ বিএসএফ কোর্ট অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে আবারও নির্দোষ বলে পুনরায় রায় দেন। এ ব্যাপারে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা মাসুমকে উচ্চ আদালতে মামলাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ করেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা ম  (মাসুম) ভারতের সুপ্রীম কোর্টে ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই একটি রিট মামলা দায়ের করে।