ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আনারসের এতগুন কি জানা ছিল আগে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আনারস খেতে ভালোবাসেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আনারসের ব্যবহার সারা বিশ্বেই হয়ে আসছে। কিন্তু কয়জন আনারসের গুণাবলীগুলি সম্পর্কে জানেন বলুন তো? আনারস শুধু যে খেতেই সুস্বাদু, তা কিন্তু নয়। আনারস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, সেই সঙ্গে হজম শক্তি বাড়ায়, হাড় শক্ত করে, প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করে, ঠাণ্ডা লাগা এবং কাশিতেও দারুণ উপকারী ভূমিকা নেয়। এমনকি অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আনারস সাহায্য করে।

আনারস ব্রোমেলিয়েসী বর্গের অন্তর্ভুক্ত একটি উদ্ভিদ। এক সময় শুধুমাত্র হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এটির চাষ হতো। যদিও বর্তমানে পৃথিবীর বহু দেশেই বহুল পরিমাণে এর চাষ হয়ে থাকে। আমেরিকা মহাদেশে জন্মালেও এই সুমিষ্ট ফলটি কিভাবে যে বিশ্বজনীন হয়ে উঠলো, তা যদিও সঠিকভাবে জানা নেই। এটুকু জানা যায় যে আমেরিকা আবিষ্কার করার পর ১৪৯৩ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস ফেরেন ইউরোপে, তাঁর মাতৃভূমি ইতালিতে। সঙ্গে নিয়ে আসেন আনারসের বীজ।

এভাবেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিল মনোলোভা সুমিষ্ট আনারস।

সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে আনারসের চাষ করা হয়। ফল হিসেবে আনারসের জনপ্রিয়তা কম নেই। সেই সঙ্গে ঘর ছাওয়ার কাজেও আনারস পাতার ব্যবহার চোখে পরে। এমনকি পিনা কোলাডার মতো জনপ্রিয় পানীয় তৈরিতেও আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আনারসের পুষ্টিগুণ শুধুমাত্র এর স্বাদ বা চেহারা নয়, আনারস প্রচুর পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।
ভিটামিন সি, নানা খনিজ পুষ্টি উপাদান, যেমন পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, এমনকি ফাইবার এবং ব্রোমেলিন ইত্যাদি নানা কার্যকরি উপাদানে সমৃদ্ধ আনারস।

আনারস শুধু যে খেতেই সুস্বাদু, তা কিন্তু নয়। এই ফলটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজম শক্তি বাড়ায়, হাড় শক্ত করে, প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করে, ঠাণ্ডা লাগা এবং কাশি কমাতেও কাজে আসে। এখানেই শেষ নয়, গবেষণা বলছে অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আনারসের দারুণ ভুমিকা রয়েছে। তাহলে এবার একটু বিশদে দেখে নেওয়া যাক, কি কি উপায়ে আনারস আমাদের উপকার করতে পারে।

১. বাতের সমস্যা কমায়
আনারস, বাতের সমস্যার প্রকোপ কমাতে দারুণ কাজ করে। আমাদের চারপাশে এমন বহু মানুষ আছেন, যারা প্রতিদিন অত্যন্ত শারীরিক যন্ত্রণা এবং কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত করেন, শুধুমাত্র বাতের ব্যাথার কারণে। প্রসঙ্গত, বাতের ব্যাথায় মাংসপেশি এবং হাঁটু, কনুই এইসব অংশগুলি ফুলে যায়। ফলে দৈনন্দিন জীবন খুবই সমস্যায় পড়ে। আনারসের মধ্যে এক ধরণের প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক থাকে, যা ব্রোমেলিন নামে পরিচিত। এই ব্রোমেলিনই আমাদের শরীরে বাতের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
একটি গোটা আনারস খেলে তা আমাদের শরীরে দৈনিক ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড-এর চাহিদার ১৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। ভিটামিন সি শ্বেত রক্ত কনিকার ক্ষমতা বাড়িয়ে নানারকম জীবাণু তো প্রতিরোধ করেই, একইসঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে থাকে। এছাড়াও সুস্থ কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আমাদের ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে এই উপাদানটি।

৩.কোষের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
আনারস খেলে শরীরের ভিতর প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন তৈরি হয়, যা কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজে আসে।

৪. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে
আনারসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন, ব্রোমেলিন ও ম্যাঙ্গানিজ থাকায় মুখ, গলা এবং স্তন ক্যান্সারের প্রতিরোধে এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. পেটের সমস্যায় মহৌষধি
আনারস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইরিয়া সহ নানাবিধ পেটের সমস্যা তো কমেই। সেই সঙ্গে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনে প্রতিবন্ধকতা), রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, এমনকি উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও আনারস ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আসসলে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায়, এটি খাবার হজম করতে এবং বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডাইরিয়া আক্রান্তদের ক্ষেত্রেও দারুণ কাজ করে আনারস। রক্তনালীতে জমে যাওয়া কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে আনারস। এর ফলে সুস্থ থাকে আমাদের হৃদযন্ত্রও।

৬. সর্দি কাশিতেও দারুণ কাজ দেয়
আনারসের মধ্যে ব্রোমেলিন নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা বুকে সর্দি জমতে দেয় না। একইসঙ্গে সাইনাসের সমস্যাও রোধ করে। সেই সঙ্গে শ্বাসের সমস্যা দূর করতেও আনারস খাওয়া খুবই জরুরি।

৭. হাড়ের যত্নে আনারস
আনারসে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি না থাকলেও, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা আমাদের হাড়ের যত্নে দারুণ কাজ দেয়। প্রসঙ্গত, ম্যাঙ্গানিজ হাড়ের ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে।

৮. দাঁতের যত্নে আনারস
দাঁতের যত্নে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই ফলটি মাড়ি এবং দাঁতের গোঁড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, আনারস চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা মেটাতে, মাংসপেশি শক্ত করতে, এমনকি ত্বক টানটান রাখতেও দারুণ কাজে দেয়।

৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
চোখের সমস্যা যাদের আছে, তারাই জানেন, প্রতিদিনের কাজকর্মে এই সমস্যা কতটা অসুবিধা সৃষ্টি করে। কিন্তু কয়জন জানি বলুন তো যে আনারস আমাদের চোখের জন্য কতটা উপকারি? বয়স্কদের ক্ষেত্রে রেটিনা ক্ষয়ে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারানোর একটা সম্ভাবনা থাকে। আনারসে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন এই ধরণের সমস্যা রোধে সাহায্য করে। তাই বয়স যেমনই হোক, প্রতিদিন চেষ্টা করুন সবুজ শাক সবজি এবং প্রচুর পরিমাণে ফল খেতে। যাতে পরিমিত হারে বিটা ক্যারোটিন শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

১০. রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
আনারসে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালন এবং রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যখন আমাদের শরীরে রক্ত নালীর প্রসারণ ঠিকভাবে হয়, তখন উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বহুলাংশে কমে যায়। এছাড়াও পটাশিয়াম রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না বলে রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা কমে যায়। ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আনারসের এতগুন কি জানা ছিল আগে

আপডেট টাইম : ০৩:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আনারস খেতে ভালোবাসেন না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আনারসের ব্যবহার সারা বিশ্বেই হয়ে আসছে। কিন্তু কয়জন আনারসের গুণাবলীগুলি সম্পর্কে জানেন বলুন তো? আনারস শুধু যে খেতেই সুস্বাদু, তা কিন্তু নয়। আনারস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, সেই সঙ্গে হজম শক্তি বাড়ায়, হাড় শক্ত করে, প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করে, ঠাণ্ডা লাগা এবং কাশিতেও দারুণ উপকারী ভূমিকা নেয়। এমনকি অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আনারস সাহায্য করে।

আনারস ব্রোমেলিয়েসী বর্গের অন্তর্ভুক্ত একটি উদ্ভিদ। এক সময় শুধুমাত্র হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এটির চাষ হতো। যদিও বর্তমানে পৃথিবীর বহু দেশেই বহুল পরিমাণে এর চাষ হয়ে থাকে। আমেরিকা মহাদেশে জন্মালেও এই সুমিষ্ট ফলটি কিভাবে যে বিশ্বজনীন হয়ে উঠলো, তা যদিও সঠিকভাবে জানা নেই। এটুকু জানা যায় যে আমেরিকা আবিষ্কার করার পর ১৪৯৩ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস ফেরেন ইউরোপে, তাঁর মাতৃভূমি ইতালিতে। সঙ্গে নিয়ে আসেন আনারসের বীজ।

এভাবেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিল মনোলোভা সুমিষ্ট আনারস।

সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে আনারসের চাষ করা হয়। ফল হিসেবে আনারসের জনপ্রিয়তা কম নেই। সেই সঙ্গে ঘর ছাওয়ার কাজেও আনারস পাতার ব্যবহার চোখে পরে। এমনকি পিনা কোলাডার মতো জনপ্রিয় পানীয় তৈরিতেও আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আনারসের পুষ্টিগুণ শুধুমাত্র এর স্বাদ বা চেহারা নয়, আনারস প্রচুর পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।
ভিটামিন সি, নানা খনিজ পুষ্টি উপাদান, যেমন পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, এমনকি ফাইবার এবং ব্রোমেলিন ইত্যাদি নানা কার্যকরি উপাদানে সমৃদ্ধ আনারস।

আনারস শুধু যে খেতেই সুস্বাদু, তা কিন্তু নয়। এই ফলটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজম শক্তি বাড়ায়, হাড় শক্ত করে, প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করে, ঠাণ্ডা লাগা এবং কাশি কমাতেও কাজে আসে। এখানেই শেষ নয়, গবেষণা বলছে অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আনারসের দারুণ ভুমিকা রয়েছে। তাহলে এবার একটু বিশদে দেখে নেওয়া যাক, কি কি উপায়ে আনারস আমাদের উপকার করতে পারে।

১. বাতের সমস্যা কমায়
আনারস, বাতের সমস্যার প্রকোপ কমাতে দারুণ কাজ করে। আমাদের চারপাশে এমন বহু মানুষ আছেন, যারা প্রতিদিন অত্যন্ত শারীরিক যন্ত্রণা এবং কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত করেন, শুধুমাত্র বাতের ব্যাথার কারণে। প্রসঙ্গত, বাতের ব্যাথায় মাংসপেশি এবং হাঁটু, কনুই এইসব অংশগুলি ফুলে যায়। ফলে দৈনন্দিন জীবন খুবই সমস্যায় পড়ে। আনারসের মধ্যে এক ধরণের প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক থাকে, যা ব্রোমেলিন নামে পরিচিত। এই ব্রোমেলিনই আমাদের শরীরে বাতের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
একটি গোটা আনারস খেলে তা আমাদের শরীরে দৈনিক ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড-এর চাহিদার ১৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। ভিটামিন সি শ্বেত রক্ত কনিকার ক্ষমতা বাড়িয়ে নানারকম জীবাণু তো প্রতিরোধ করেই, একইসঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে থাকে। এছাড়াও সুস্থ কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আমাদের ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে এই উপাদানটি।

৩.কোষের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
আনারস খেলে শরীরের ভিতর প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন তৈরি হয়, যা কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজে আসে।

৪. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে
আনারসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন, ব্রোমেলিন ও ম্যাঙ্গানিজ থাকায় মুখ, গলা এবং স্তন ক্যান্সারের প্রতিরোধে এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. পেটের সমস্যায় মহৌষধি
আনারস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইরিয়া সহ নানাবিধ পেটের সমস্যা তো কমেই। সেই সঙ্গে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনে প্রতিবন্ধকতা), রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, এমনকি উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও আনারস ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আসসলে এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায়, এটি খাবার হজম করতে এবং বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডাইরিয়া আক্রান্তদের ক্ষেত্রেও দারুণ কাজ করে আনারস। রক্তনালীতে জমে যাওয়া কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে আনারস। এর ফলে সুস্থ থাকে আমাদের হৃদযন্ত্রও।

৬. সর্দি কাশিতেও দারুণ কাজ দেয়
আনারসের মধ্যে ব্রোমেলিন নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা বুকে সর্দি জমতে দেয় না। একইসঙ্গে সাইনাসের সমস্যাও রোধ করে। সেই সঙ্গে শ্বাসের সমস্যা দূর করতেও আনারস খাওয়া খুবই জরুরি।

৭. হাড়ের যত্নে আনারস
আনারসে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি না থাকলেও, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা আমাদের হাড়ের যত্নে দারুণ কাজ দেয়। প্রসঙ্গত, ম্যাঙ্গানিজ হাড়ের ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে।

৮. দাঁতের যত্নে আনারস
দাঁতের যত্নে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। এই ফলটি মাড়ি এবং দাঁতের গোঁড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, আনারস চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা মেটাতে, মাংসপেশি শক্ত করতে, এমনকি ত্বক টানটান রাখতেও দারুণ কাজে দেয়।

৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
চোখের সমস্যা যাদের আছে, তারাই জানেন, প্রতিদিনের কাজকর্মে এই সমস্যা কতটা অসুবিধা সৃষ্টি করে। কিন্তু কয়জন জানি বলুন তো যে আনারস আমাদের চোখের জন্য কতটা উপকারি? বয়স্কদের ক্ষেত্রে রেটিনা ক্ষয়ে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারানোর একটা সম্ভাবনা থাকে। আনারসে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন এই ধরণের সমস্যা রোধে সাহায্য করে। তাই বয়স যেমনই হোক, প্রতিদিন চেষ্টা করুন সবুজ শাক সবজি এবং প্রচুর পরিমাণে ফল খেতে। যাতে পরিমিত হারে বিটা ক্যারোটিন শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

১০. রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
আনারসে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্ত সঞ্চালন এবং রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যখন আমাদের শরীরে রক্ত নালীর প্রসারণ ঠিকভাবে হয়, তখন উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বহুলাংশে কমে যায়। এছাড়াও পটাশিয়াম রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না বলে রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা কমে যায়। ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই