হাওর বার্তা ডেস্কঃ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন—এ তিন মাসে স্মার্টফোনের আন্তর্জাতিক বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। এ সময় মোট ৩৬ কোটি ৬২ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।
বাজার দখলের হিসাবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত ফোন বাজারে ৮৭ দশমিক ৭ শতাংশ আর আইওএসের দখলে ১২ দশমিক ১ শতাংশ।
গার্টনারের গবেষণা পরিচালক অংশুল গুপ্তা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দরকারি স্মার্টফোনের জোরালো চাহিদা থাকলেও উন্নয়নশীল বাজারগুলোয় ফোরজি স্মার্টফোন, যাতে বেশি স্টোরেজ, উন্নত প্রসেসর ও ক্যামেরা রয়েছে, তার চাহিদা বাড়ছে। ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় গত বছরের তুলনায় স্মার্টফোন বিক্রি বেশি হচ্ছে।
গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এবার সব ধরনের স্মার্টফোন বিক্রি বেশি হয়েছে। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এ বছর সাড়ে ৭ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়েছে স্যামসাংয়ের ফোন। সে হিসাবে বাজারের শীর্ষে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরে নোট ৭ নিয়ে দুর্দশার পর এবারে গ্যালাক্সি এস৮ ও এস৮ প্লাস বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করেছে। অংশুল গুপ্তা বলেন, বাজারে হুয়াওয়ে, অপো ও ভিভোর মতো ব্র্যান্ডগুলো প্রতিযোগিতা শুরু করলেও আশা করা যায়, ২০১৭ সালে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখবে স্যামসাং।
বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩৩ লাখ ইউনিট আইফোন সরবরাহ করলেও গত বছরের তুলনায় এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে খুব বেশি এগোতে পারেনি অ্যাপল। স্মার্টফোন বাজারের দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। গুপ্ত বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজারে পুরোনো মডেলের আইফোনের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ থাকায় আইফোনের বিক্রি বাড়বে। নতুন আইওএস ১১ নতুন আইফোনের বিক্রি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এতে ২০১৭ সালে আইফোনের মোট বিক্রি বাড়বে।
৯ দশমিক ৮ শতাংশ বাজার দখল নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বাজার দখল ছিলে হুয়াওয়ের।
চীনের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ভিভো ও অপো ২০১৭ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ ভিভো ও ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে অপো স্মার্টফোনের। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।