ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা বাঁধে পূর্ব পাড়ে তীব্র ধস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৫২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা গাইড বাঁধে আবারো ধসের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সেতু রক্ষা বাঁধের পূর্ব পাড়ে গড়িলা বাড়ি অংশে ৫০০ মিটার গভীর হয়ে নদী গর্ভে চলে যায়। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু সেতুর জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এই ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন হোসেন বলেন, ধসের ঘটনা সেতুর দু’ পাশের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে হওয়ায় আমরা এটিকে হুমকি বলে মনে করছি। এটি যেভাবে ভাঙছে তাতে বঙ্গবন্ধু সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।

একটি অসাধু মহল বাঁধের কোল ঘেষে বালু উত্তোলনের ফলে নীচের অংশের মাটি সরে যাওয়ায় এ ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ।

তারা বলছেন, সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন সার্ভে করে গেলেও, বাধঁটি রক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন কার্যক্রম শুরুই করেননি তারা। সেতু কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও গাফলতির কারণে বর্তমানে বাঁধের এই অবস্থা হয়েছে।

বাঁধটি ভেঙে গেলে বঙ্গবন্ধু সেতু চরম হুমকিতে পড়বে এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। এছাড়াও বাধেঁর পাশের সাতটি গ্রাম গড়িলা বাড়ি, বেলটিয়া, আলীপুর, বুরুপ বাড়ি, পৌলির চর, দৌগাতি এবং বেঁড়িপটল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ১০০ মিটার পাথর ও ১৮ মিটার ব্লক দিয়ে ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষার জন্য বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা বাঁধে পূর্ব পাড়ে তীব্র ধস

আপডেট টাইম : ১২:২০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষা গাইড বাঁধে আবারো ধসের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সেতু রক্ষা বাঁধের পূর্ব পাড়ে গড়িলা বাড়ি অংশে ৫০০ মিটার গভীর হয়ে নদী গর্ভে চলে যায়। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু সেতুর জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এই ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহীন হোসেন বলেন, ধসের ঘটনা সেতুর দু’ পাশের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে হওয়ায় আমরা এটিকে হুমকি বলে মনে করছি। এটি যেভাবে ভাঙছে তাতে বঙ্গবন্ধু সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।

একটি অসাধু মহল বাঁধের কোল ঘেষে বালু উত্তোলনের ফলে নীচের অংশের মাটি সরে যাওয়ায় এ ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ।

তারা বলছেন, সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন সার্ভে করে গেলেও, বাধঁটি রক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন কার্যক্রম শুরুই করেননি তারা। সেতু কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও গাফলতির কারণে বর্তমানে বাঁধের এই অবস্থা হয়েছে।

বাঁধটি ভেঙে গেলে বঙ্গবন্ধু সেতু চরম হুমকিতে পড়বে এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। এছাড়াও বাধেঁর পাশের সাতটি গ্রাম গড়িলা বাড়ি, বেলটিয়া, আলীপুর, বুরুপ বাড়ি, পৌলির চর, দৌগাতি এবং বেঁড়িপটল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ১০০ মিটার পাথর ও ১৮ মিটার ব্লক দিয়ে ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষার জন্য বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল।