হাওর বার্তা ডেস্কঃ দীর্ঘ ৭৪ বছরের জীবনে অভিজ্ঞতা অনেক। কিন্তু এবার হাওরে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, তেমনটি আর অতীতে কখনো দেখেননি। এবার আগাম বন্যা হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের পাশাপাশি মরেছে মাছ ও গবাদি পশু। যে কারণে হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন। ওই বিপন্ন মানুষগুলোকে দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে খোশগল্প করেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এর বেশীর ভাগ সময় আলাপ হয় হাওরের বন্যা নিয়ে। খুব সহজ সরল ভাষায় হাওর পরিস্থিতি বর্ণনা করেন তিনি। বলেন, আগে বন্যা হয়েছে ধান পাকলে বা পাকার মুহুর্তে। এতে বন্যার পরেও ধান কাটতে পেরেছে। কৃষকরা কিছুটা হলেও ফসল পেয়েছে। কিন্তু এবার বন্যা হয়েছে ধানের ফলন আসার মুহুর্তে। ফলে কোনো ধান পাইনি কৃষক। আর নরম ধানের পাতা দ্রুত পচেছে। পচা ধানের গাছ জমিতে দেওয়া সার ও কীটনাশকের সঙ্গে মিশে পানি নষ্ট হয়েছে। এতে মাছ ও গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। মানুষের জীবনে সংকট বেড়েছে।
আলোচনাকালে পরিবেশের উপর মানুষের আক্রমণে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, অবাধে গাছ কাটা ও পাথর উত্তোলন চলছে। এতে নদীতে পলির পরিমাণ বাড়ছে। ফলে নদীর তলদেশ ভরাট হচ্ছে। ফলে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমছে। এই অবস্থায় নদী উপচে বন্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নদীর বাঁধ উচু করে লাভ হবে না। নদীর নাব্যতা বাড়াতে হবে। পাহাড় থেকে সাগরের সঙ্গে নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। আড্ডার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি নিজের বয়সের কথা উল্লেখ করেন। কতদিন বাঁচবেন তা নিয়ে কথা বলেন। দেখেন পাশের লোক চেকে ৫ লক্ষ টাকা লিখে শেষে লিখিছেন মাত্র। পরে তিনি ৫০০ টাকা তুলবেন। তিনি লিখলেন ৫০০ টাকা কিছুই না। মোস্তাক সাহেবের অবস্থা দেখি তাই!