জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন,- ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এ দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়গণ শাহাদাতবরণ করেন। আমি শোকাহত চিত্তে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। জাতীয় শোক দিবসে পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে সেদিনের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
বাণীতে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক বেদনাবিধুর ও কলঙ্কজনক অধ্যায়। দেশের স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের হাতে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ হন।’
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য বিষয়ে বাণীতে বলা হয়, ‘শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ককে হত্যা করা নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা এবং পরাজিত শক্তিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করাই ছিল হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য।’
তিনি বাণীতে বলেন, ‘ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার আদর্শ ও নীতিকে নিঃশেষ করতে পারেনি। যতদিন এ দেশ ও জনগণ থাকবে, ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।
‘জাতির পিতার সারাজীবনের স্বপ্ন ছিল দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা। আমাদের দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে দেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে তার সেই স্বপ্ন পূরণ করা। …বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে ‘ভিশন ২০২১’ এবং এরই ধারাবাহিকতায় ‘ভিশন ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশ আজ মধ্যআয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস স্বাধীনতার হীরকজয়ন্তীতে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।’
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘আসুন, জাতীয় শোক দিবসে আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করি এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করি।’