ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গিনেস বুকে আবারও নাম লেখালেন হালিম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩১৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাথায় বল নিয়ে ১৩.৭৪ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিনেস বুকে আবারও নাম লেখালেন ফুটবল জাদুকর আবদুল হালিম।

বৃহস্পতিবার গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ তাকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে। মাগুরার শালিখা উপজেলার অজপাড়াগাঁ ছয়ঘরিয়া গ্রামের সাধারণ কৃষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারির ছেলে আবদুল হালিম এর আগে ফুটবল নিয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে আরও দু’বার বিশ্ব সেরার স্বীকৃতি পান।

ফুটবলপাগল হালিম ২০১১ সালে প্রথম বিশ্বরেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে নাম লেখান। সেটি ছিল ২ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট নিরবচ্ছিন্নভাবে মাথায় ফুটবল নিয়ে ১৫.২০ কিলোমিটার পথ হাঁটা। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পান ২৭.৬৬ মিনিটে ১০০ মিটার রোলার স্কেটিংয়ের জন্য। ওই দুটি রেকর্ডের কারণে ফুটবল জাদুকর হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিতি পান হালিম।

এবার তৃতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পেলেন সাইকেল চালানো অবস্থায় মাথায় বল নিয়ে ১৩.৭৪ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য।

এ নতুন রেকর্ডের জন্য হালিম গত ৮ জুন দুপুর ১১.৫৩ মিনিটে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে বল মাথায় নিয়ে সাইকেল চালানো শুরু করেন। কিন্তু বাতাসের প্রচণ্ড ঝাপটায় দুপুর ১টা ১২ মিনিটে তার মাথা থেকে বল পড়ে যায়। ততক্ষণে তিনি ১৩.৭৪ কিলোমিটার অতিক্রম করে ফেলেন, যা নতুন রেকর্ড।

দু-দু’বার বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হালিম নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য ২০১৬ সালে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। সেসময় তারা কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার সীমা নির্ধারণ করে দেয়। তাদের বেঁধে দেয়া সীমার চেয়ে বেশি পথ অতিক্রম করেন হালিম। তিনি ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটে ১৩.৭৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। ভিডিওতে ধারণ করা হয়।

এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো ভিডিও, স্থিরচিত্রসহ অন্যান্য প্রমাণাদি গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়। সেসব বিচার-বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় আবদুল হালিমকে নতুন রেকর্ডের স্বীকৃতি দেয় গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ।

হালিম বলেন, ‘এই আনন্দ বিশ্ব জয়ের। এর প্রকাশ কীভাবে করবো জানি না। আমার জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। চ্যালেঞ্জ ছিল নিজের সাথেই। আমি চেয়েছি এটি করতে এবং তার জন্য নিয়মিত পরিশ্রমের ফসল হিসেবেই পাওয়া সম্ভব হয়েছে।’ দরিদ্র কৃষক পরিবারের সস্তান প্রথম দুটি বিশ্বরেকর্ড অর্জনের মাধ্যমে বিশ্ব স্বীকৃতি পেলেও দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে কোনো স্বীকৃতি না দেয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গিনেস বুকে আবারও নাম লেখালেন হালিম

আপডেট টাইম : ০৫:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাথায় বল নিয়ে ১৩.৭৪ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিনেস বুকে আবারও নাম লেখালেন ফুটবল জাদুকর আবদুল হালিম।

বৃহস্পতিবার গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ তাকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে। মাগুরার শালিখা উপজেলার অজপাড়াগাঁ ছয়ঘরিয়া গ্রামের সাধারণ কৃষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারির ছেলে আবদুল হালিম এর আগে ফুটবল নিয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে আরও দু’বার বিশ্ব সেরার স্বীকৃতি পান।

ফুটবলপাগল হালিম ২০১১ সালে প্রথম বিশ্বরেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে নাম লেখান। সেটি ছিল ২ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট নিরবচ্ছিন্নভাবে মাথায় ফুটবল নিয়ে ১৫.২০ কিলোমিটার পথ হাঁটা। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পান ২৭.৬৬ মিনিটে ১০০ মিটার রোলার স্কেটিংয়ের জন্য। ওই দুটি রেকর্ডের কারণে ফুটবল জাদুকর হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিতি পান হালিম।

এবার তৃতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পেলেন সাইকেল চালানো অবস্থায় মাথায় বল নিয়ে ১৩.৭৪ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য।

এ নতুন রেকর্ডের জন্য হালিম গত ৮ জুন দুপুর ১১.৫৩ মিনিটে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে বল মাথায় নিয়ে সাইকেল চালানো শুরু করেন। কিন্তু বাতাসের প্রচণ্ড ঝাপটায় দুপুর ১টা ১২ মিনিটে তার মাথা থেকে বল পড়ে যায়। ততক্ষণে তিনি ১৩.৭৪ কিলোমিটার অতিক্রম করে ফেলেন, যা নতুন রেকর্ড।

দু-দু’বার বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হালিম নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য ২০১৬ সালে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। সেসময় তারা কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার সীমা নির্ধারণ করে দেয়। তাদের বেঁধে দেয়া সীমার চেয়ে বেশি পথ অতিক্রম করেন হালিম। তিনি ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটে ১৩.৭৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। ভিডিওতে ধারণ করা হয়।

এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো ভিডিও, স্থিরচিত্রসহ অন্যান্য প্রমাণাদি গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়। সেসব বিচার-বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় আবদুল হালিমকে নতুন রেকর্ডের স্বীকৃতি দেয় গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ।

হালিম বলেন, ‘এই আনন্দ বিশ্ব জয়ের। এর প্রকাশ কীভাবে করবো জানি না। আমার জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। চ্যালেঞ্জ ছিল নিজের সাথেই। আমি চেয়েছি এটি করতে এবং তার জন্য নিয়মিত পরিশ্রমের ফসল হিসেবেই পাওয়া সম্ভব হয়েছে।’ দরিদ্র কৃষক পরিবারের সস্তান প্রথম দুটি বিশ্বরেকর্ড অর্জনের মাধ্যমে বিশ্ব স্বীকৃতি পেলেও দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে কোনো স্বীকৃতি না দেয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।