ঢাকা-২ আসনে কামরুল নয় শাহিন উঠবেন নৌকায়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ-কামরাঙ্গীরচর) আসনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম নয় বর্তমান কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদই উঠছেন নৌকায়। আসনটিতে সরেজমিনে ঘুরে তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে। এমনকি শাহিন আহমেদকেই আগামী নির্বাচনে এমপি হিসাবে দেখতে চান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বীকৃতি অর্জন করা শাহিন আহমেদ কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে দীর্ঘধরেই একছাতার নিচে একত্রিত করে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমনকি পুরো কেরানীগঞ্জ জুড়েই বিভিন্ন সময়ে দলীয়, সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পোস্টার ব্যানারে শুধু শাহিন আহমেদকেই দেখা গেছে। এছাড়া সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তার সরব উপস্থিতি রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন শাহিন আহমেদ।

মনোয়ার হোসেন নামের একজন ট্রাক ড্রাইভার রোহিতপুর বাজারে বসে চা খেতে খেতে হাওর বার্তাকে বলেন, ‘ভাইজান, মন্ত্রী সাহেবকে কোনোদিন চোখে দেখি নাই, মন্ত্রী হবার পর। মাঝে মধ্যে টিভিতে তারে দেহন যায়।’

চায়ের দোকানদার সালেহ মিয়া জানান, ‘আমাগো তো আর ভোট দিতে হয় নাই। তাই মন্ত্রী সাব আমাগো সুখ দুখে আসেন না, খোঁজও নেন না।’

আটিবাজারের কাঠমিস্ত্রি আব্দুর রহিম বলেন, ‘একবার মন্ত্রী সাহেবের কাছে ছোট বোনে চাকরির সুপারিশের জন্য গেছিলাম। কিন্তু উনি দেখাই করেননি। এমনকি তার পিএসকে ফোন করলেও পরে করে দিবে করে করে প্রায় ৩ মাস ঘুরিয়েছে।‘

এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মন্ত্রী হবার পর পর থেকেই এলাকার জনগণের সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ রক্ষা করছেন না। চায়ের দোকানে বসে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, মন্ত্রী সাহেবকে শুধু আমরা টিভিতেই দেখি। কোনোদিন তার সঙ্গে হাতও মিলাতে পারি নাই। গাড়িতে বসে যে আমাদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়বেন সেটাও করেননি কোনোদিন।

একই সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদের বিষয়ে তাদের ধারণা, তিনি অত্যন্ত গণমূখী চরিত্র নিয়ে কাজ করছেন। তার কাছে সবাই যেতে পারেন। এমনকি তার কাছে গিয়ে কেউ কোনোদিন খালি হাতে ফিরে আসেনি।

ঢাকা-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের জরিপেও শাহিন আহমেদ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের চেয়ে জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসা তরুণ এই উপজেলা চেয়ারম্যান আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এ আসনটি শেখ হাসিনাকে জয় উপহার দিতে চান।

এ প্রসঙ্গে তিনি হাওর বার্তাকে বলেন, আমি বরাবরই দলের প্রতি অনুগত থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকা প্রতীক দেন, তবে তৃণমূল ও সাধারণ জনগণকে নিয়ে আমি জয়ী হতে পারবো ইনসাল্লাহ। এলকার আবাল বৃদ্ধ বণিতা থেকে শুরু করে দিনমজুর, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, আইনজীবীসহ সকল পেশার মানুষের সঙ্গে আমার আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সুখে ‍দুঃখে সব সময় পাশে থাকছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর