হাওর বার্তা ডেস্কঃ নেইমার ক্লাব ছাড়ার পর সোমবার রাতে প্রথম মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু আর্নেস্তো ভালভার্দের বাকি শিষ্যরা নেইমারের অভাব বুঝতেই দেননি।
ন্যু ক্যাম্পে শাপেকোয়েন্সের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানের বড় জয় এনে দিয়েছেন লিওলেন মেসিরা। এ জয়ে জন গামপার ট্রফি বা সুপার কাপ জিতে নিয়েছে কাতালানরা।
নেইমারের ভূমিকায় ভালভার্দে খেলান তরুণ জেরার্ড ডেউলোফুকে। আস্থার প্রতিদান দিতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। ৬ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ডেউোলোফু।
এরপর ১১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সার্জিও বুসকেটস। খেলার ২৮ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওলেন মেসি।
প্রথমার্ধে ৩-০ ব্যবধানেই এগিয়ে থেকে বিরতিতি যায় দু’দল। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম একাদশের প্রায় সবাইকে বসিয়ে নতুন দল নামায় বার্সা। শাপেকোয়েন্সও একই কাজ করে।
তবে তাতেও ধার একদম কমেনি বার্সার। ম্যাচের লাগাম শেষ পর্যন্ত নিজেদের হাতেই রাখে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
৫৫ মিনিটে গোল পান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। আর শাপেকোয়েন্সের জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ডেনিস সুয়ারেজ, ৭৪ মিনিটে।
ঐতিহ্য অনুযায়ী এই প্রীতি ম্যাচ দিয়ে বার্সেলোনা তাদের চলতি মৌসুম শুরু করল। কিন্তু এ এমন এক ম্যাচ যেখানে স্কোর ৫-০ দেখা গেলেও হারেনি শাপেকোয়েন্স!
কারণ ব্রাজিলের এই ক্লাবটির প্রতি সম্মান জানাতেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বার্সেলোনা। গতবছর ক্লাব পর্যায়ের একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ফাইনাল খেলতে যাওয়ার সময় বিমান দুর্ঘটনায় শাপেকোয়েন্সের বেশিরভাগ খেলোয়াড় মারা যান।
সেই ট্র্যাজেডির প্রতি সম্মান জানাতে কাতালানরা কুণ্ঠাবোধ করেননি। গ্যালারি থেকে নিজ দলের বিপক্ষে গিয়ে শাপেকোয়েন্সের হয়ে গলা ফাটিয়েছেন ৬২ হাজার দর্শক।
অবশ্য এই ম্যাচের আগেই দু’দলের শক্তি জানা ছিল। তারপরও শাপেকোয়েন্স বেশ কয়েকবার ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল। বিশেষ করে গোলরক্ষক ইলিয়াস দারুণ সব সেফ করেন।
তবে ম্যাচের উত্তেজনা ছিল শেষ মিনিট পর্যন্ত। সুয়ারেজের বদলি নামা পাকো আলকেসার পেনাল্টি মিস করেন।