রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে ফের ইসির চিঠি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে কোনোভাবেই যাতে রোহিঙ্গারা অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দিয়ে মাঠ পর্যায়ে ফের চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এ কাজে কেউ গাফিলতি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে ওই নির্দেশনায়। ইসি সূত্র জানায়, এর আগেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে মাঠপর্যায়ে চিঠি দিয়েছিল কমিশন। এছাড়া ১৬ জুলাই এ বিষয়ে বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করে ইসি।

আজ সোমবার ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠির অনুলিপি জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসব এলাকার বিশেষ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।

মাঠপর্যায়ে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে রোহিঙ্গারা যেন কোনোভাবেই ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে না পারেন সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। এ কাজে কারো গাফিলতি হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

ভোটার তালিকায় বিদেশি ঠেকাতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত চার জেলার ৩০টি উপজেলাকে কঠোর পর্যবেক্ষণে রেখেছে ইসি। এসব বিশেষ এলাকার মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৮টি, বান্দরবানের ৭টি, রাঙামাটির ৮ ও চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলা রয়েছে।

উপজেলাগুলো হলো, কক্সবাজার সদর, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, বোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। রাঙামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও বাঁশখালী।

বিশেষ এলাকার বিশেষ কমিটি :
বিশেষ এলাকার বিশেষ কমিটির ১৪ জন সদস্য হলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধি, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রতিনিধি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে), হেড ম্যান (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে), কারবারি (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে) ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর হালনাগাদ ভোটারের খসড়া তালিকা ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর