হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বাতিলের বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে ১৭ আগস্ট। সোমবার (০৭ আগস্ট) সকালে বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার অস্থায় ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। এর আগে ৭ আগস্ট মামলার কার্যক্রম শুরু হলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল চেয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন কার্যক্রম পরিচালনা করতে আদালতকে অনুরোধ করেন। এ সময় বিচারক খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল করা হবে না-এ বিষয়ে তার আইনজীবীদের কাছে আধা ঘণ্টার (দুপুর দেড়টা থেকে ২টা) মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চান। পরে দুপুর ২টায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে একটি লিখিত ব্যাখ্যা দেন। ব্যাখ্যায় বলা হয়, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। তিনি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দেশে ফিরবেন। এরপর তিনি আর কখনও হাজিরায় অনুপস্থিত থাকবেন না। এ সময় বিচার চলাকালে আদালতের অনুমতি না নিয়ে বিদেশ যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক। একই সঙ্গে আসামিপক্ষ মামলার বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করছে ও বিচার কাজে সহায়তা করছেন না বলে উল্লেখ করেন আদালত। বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডন রয়েছেন। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।