হাওর বার্তা ডেস্কঃ খেলা শেষে হয়তো ম্যাচ হারার পুরো দায়টাই নিজের উপর নিবেন পেদ্রো। কারণ তিনি ম্যাচের ৮০ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন আর তার ঠিক দুই মিনিট পরই আর্সেনালের হয়ে গোল করেন সেদ কোলাসিনাক। পেদ্রো হয়তো এই আগুনে অনেকদিন জ্বলবেন। কিন্তু ম্যাচ শেষে আনন্দের জোয়ারে ভাসেন আর্সেনাল। কারণ তারা ঐতিহ্যবাহী কমিউনিটি শিল্ড যে ঘরে তুলেছে।
ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ৬ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েও মিস করে আর্সেনাল। ৭ মিনিটেও গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেনি ড্যানি ওয়েলব্যাক।
এরপর খেলা যেন মাঝমাঠ জুড়েই চলছিল। তবে খেলার ২২ মিনিটে আবারও আক্রমণে গিয়ে ব্যর্থ হয় আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে আর্সেনালের পাশাপাশি চেলসিও কয়েকবার আক্রমণে যায় তবে গোল আদায় করতে পারেনি তারা। আর একারণে প্রথমার্ধে গোল শূন্য রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার এক মিনিট সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই আর্সেনালের জালে বল জড়ান ভিক্টর মোজেস। সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে ভাসে অল ব্লুজরা। তারপর আর্সেনালকে আরও চেপে ধরে চেলসি। কিন্তু বিধি যেন বাম। খেলার ৮০ মিনিটে পেদ্রো লাল কার্ড দেখার পরই খেলার মোড় ঘুরে যায়। ১০ জনের চেলসিকে চেপে ধরে আর্সেনাল। ফলাফল পেয়েও যায় ৮২ মিনিটেই।
এরপর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম কিক নিতে আসে আর্সেনালের থিও ওয়ালকট। ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করে এগিয়ে নেন তিনি গানারদের। চেলসির হয়ে প্রথম শট নিতে আসা গ্যারি কাহিলও সফল। কিন্তু পারেননি তার সতীর্থরা। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে দ্বিতীয় স্পট কিক নিতে আসা গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া বল উড়িয়ে মারেন বারের ওপর দিয়ে। এবারের গ্রীষ্মের দলবদলে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে চেলসিতে নাম লেখানো আলভারো মোরাতাও হন ব্যর্থ। বিপরীতে আর্সেনাল স্পট কিকের চার শটের চারটিই জালে জড়ালে পঞ্চম শটে যাওয়ার আর দরকার হয়নি আর্সেনালের। ৪-১ গোলের জয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা জেতার উল্লাসে মাতে আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা।