ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তথ্যমন্ত্রীর ছলচাতুরি সাংবাদিকরা মানে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৮৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের বিষয়টি এখন ব্যাপকভাবে আলোচিত। এই ধারাকে ব্যবহার করে বিশেষভাবে হয়রানি করা হচ্ছে সাংবাদিকদের। একেরপর এক সাংবাদিক হয়রানির পর আলোচনায় উঠে এসেছে ৫৭ ধারা। এখন এ আইন বাতিলের জোর দাবি উঠেছে সাংবাদিক সমাজ ও বিশিষ্টজনদের পক্ষ থেকে।

তথ্যমন্ত্রী আইনটি সংশোধনের আশ্বাস দিলেও তাতে আস্থা রাখতে পারছেন না সাংবাদিক নেতারা। মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য এটিকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তারা অবিলম্বে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ হাওর বার্তার সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে ৫৭ ধারা বাতিলের জোর দাবি জানান।

মহজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বর্তমানে ব্যাপকভাবে ৫৭ ধারায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। বারবার জোর দাবি জানানো সত্বেও তথ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে খুব একটা পজিটিভ কিছু করছেন না।

বিএফইউজে সভাপতি বলেন, আইনমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে এখন কথা বলছেন। আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী এ আইন সংশোধনীর খসড়া নিয়ে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। আমরা সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তথ্যমন্ত্রী তার মনগড়া কিছু করলে তা আমরা মেনে নেব না। মুক্ত গণমাধ্যম তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এমন আইন মেনে নেয়া হবে না বলেও সাফ জানান তিনি।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সম্প্রচার নীতিমালা বা সাইবার আইন যা করা হোক না কেন সেটা এদেশে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েই করতে হবে। কারো একক সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না সাংবাদিকরা। কোনোভাবেই ৫৭ ধারা চলতে দেয়া যায় না। এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় বলেও মন্তব্য করেন মনজুরুল আহসান বুলবুল।

ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ সাংবাদিককে বলেন, ৫৭ ধারা এদেশের গণমাধ্যমে জন্যে একটি কালো আইন। আমরা কোনো কালো আইন চায় না। মুক্তমত প্রকাশে ৫৭ ধারা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অকারণে এ আইন প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের নামে মামলা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে ৫৭ ধারা বাদ দেয়ার দাবি জানালেও তথ্যমন্ত্রী নানা কৌশলে সময়ক্ষেপণ করছেন বলেও আভিযোগ করেন তিনি।

শাবান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক সমাজের দাবির মুখে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি’ আইনের নামে ৫৭ ধারার আদলে আরেকটি কালো আইন করার পাঁয়তারা চলছে।

তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ তিনি বলেন, রাজনৈতিক কৌশল না নিয়ে গণমাধ্যমের স্বার্থে অবিলম্বে এ ধারা বাদ দিতে হবে। এ ধারা বাদ দেয়ার কথা বলে ছলছাতুরি মেনে নেয়া হবে না।

অবিলম্বে ৫৭ ধারা বাদ না দিলে এদেশের সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলন করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তথ্যমন্ত্রীর ছলচাতুরি সাংবাদিকরা মানে না

আপডেট টাইম : ০৫:৪৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের বিষয়টি এখন ব্যাপকভাবে আলোচিত। এই ধারাকে ব্যবহার করে বিশেষভাবে হয়রানি করা হচ্ছে সাংবাদিকদের। একেরপর এক সাংবাদিক হয়রানির পর আলোচনায় উঠে এসেছে ৫৭ ধারা। এখন এ আইন বাতিলের জোর দাবি উঠেছে সাংবাদিক সমাজ ও বিশিষ্টজনদের পক্ষ থেকে।

তথ্যমন্ত্রী আইনটি সংশোধনের আশ্বাস দিলেও তাতে আস্থা রাখতে পারছেন না সাংবাদিক নেতারা। মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য এটিকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তারা অবিলম্বে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শাবান মাহমুদ হাওর বার্তার সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে ৫৭ ধারা বাতিলের জোর দাবি জানান।

মহজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বর্তমানে ব্যাপকভাবে ৫৭ ধারায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। বারবার জোর দাবি জানানো সত্বেও তথ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে খুব একটা পজিটিভ কিছু করছেন না।

বিএফইউজে সভাপতি বলেন, আইনমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে এখন কথা বলছেন। আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী এ আইন সংশোধনীর খসড়া নিয়ে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। আমরা সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তথ্যমন্ত্রী তার মনগড়া কিছু করলে তা আমরা মেনে নেব না। মুক্ত গণমাধ্যম তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এমন আইন মেনে নেয়া হবে না বলেও সাফ জানান তিনি।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সম্প্রচার নীতিমালা বা সাইবার আইন যা করা হোক না কেন সেটা এদেশে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েই করতে হবে। কারো একক সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না সাংবাদিকরা। কোনোভাবেই ৫৭ ধারা চলতে দেয়া যায় না। এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় বলেও মন্তব্য করেন মনজুরুল আহসান বুলবুল।

ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ সাংবাদিককে বলেন, ৫৭ ধারা এদেশের গণমাধ্যমে জন্যে একটি কালো আইন। আমরা কোনো কালো আইন চায় না। মুক্তমত প্রকাশে ৫৭ ধারা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অকারণে এ আইন প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের নামে মামলা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে ৫৭ ধারা বাদ দেয়ার দাবি জানালেও তথ্যমন্ত্রী নানা কৌশলে সময়ক্ষেপণ করছেন বলেও আভিযোগ করেন তিনি।

শাবান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক সমাজের দাবির মুখে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি’ আইনের নামে ৫৭ ধারার আদলে আরেকটি কালো আইন করার পাঁয়তারা চলছে।

তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ তিনি বলেন, রাজনৈতিক কৌশল না নিয়ে গণমাধ্যমের স্বার্থে অবিলম্বে এ ধারা বাদ দিতে হবে। এ ধারা বাদ দেয়ার কথা বলে ছলছাতুরি মেনে নেয়া হবে না।

অবিলম্বে ৫৭ ধারা বাদ না দিলে এদেশের সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলন করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।