হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় লাইলী বেগম (২৫) নামে গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
এ সংঘর্ষে মতিঝিল জোনের একজন এডিসি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে বনশ্রী এলাকার আল-রাজী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বনশ্রীর জি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাসার সামনে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর আগে দুপুরে জুমার নামাজের পরই ওই বাড়ির সামনে জড়ো থাকে নিহতের আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা। বিকেল তিনটার দিকে প্রথমে ইটপাটকেল ছোড়া হলেও পরে কিছু লোক বাসার গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে যায়। এসময় তারা ওই বাসার বিভিন্ন রুমের আসবাবপত্র ও জিনিসপত্র ভাংচুর করে।
শত শত লোকজনকে সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ চলছিল।
সকালে ওই বাসায় থেকে গৃহকর্মী লাইলীর লাশ উদ্ধার করে তার স্বজনরা। লাইলীর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার কাশিপুর গ্রামে। তিনি তার স্বামী নজরুল ইসলামের সঙ্গে মেরাদিয়া হিন্দুপাড়ায় থাকতেন এবং বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গৃহকমীর কাজ করতেন।
লাইলীর স্বজন আফরোজা জানান, লাইলী ওই বাসায় প্রায় এক বছর ধরে কাজ করছিল। কাজের সুবাদে তার কিছু টাকা বকেয়া ছিল। শুক্রবার সকালে সেই পাওনা টাকা চাইলে গেলে বাসার মালিক মইনুদ্দিন তাকে গলাটিপে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রাখে। পরে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসার মালিক লাইলীকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করে।