বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক আসরে বরাবরই ভালো করে বাংলাদেশ। তবে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে কখনোই ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশের যুবারা। আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় বসবে যুব বিশ্বকাপের একাদশতম আসর । নিজ দেশে বিশ্বকাপ বলে এবার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ক্ষুদে টাইগাররা।
যুব বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজে জিতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে যুবাদের। এর আগে জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে প্রথম দুটি ওয়ানডে ম্যাচ হারের পরও টানা তিনটি ম্যাচ জিতে ৩-২ এ সিরিজ জেতে টাইগার যুবারা। এরপর ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাত ম্যাচের সিরিজ ৬-১ এ জেতে স্বাগতিকরা।
ছোটদের এমন ধারাবাহিক সাফল্যে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবি’র গেম ডেভোলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি জানান, ‘এবারের দলটা অনেক ভালো। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখলেই সেটা বোঝা যায়। যেহেতু আমাদের দেশে খেলা, তাই এই দলটির শিরোপা জয়ের অনেক সম্ভাবনা আছে।’
জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ নিয়ে বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি। বেশ ব্যস্ত শিডিউল অতিক্রম করেই বিশ্বকাপের মঞ্চে যাবে বাংলাদেশের যুবারা।
টানা ক্রিকেটের মধ্যেই থাকবে দলটি। আন্তর্জাতিক সিরিজ ছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে সিরিজ খেলবে মিরাজ-শান্তরা। এছাড়া রয়েছে লম্বা স্কিল ট্রেনিং প্রোগ্রাম। ছন্দে থাকা দলটাকে আরও বেশি স্কিলড করতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে টাইগারদের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল’কে। বিসিবি’র ১৬ সপ্তাহের চুক্তি করা স্টুয়ার্ট আসছেন ২৪ আগস্ট। বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত জুনিয়র টাইগারদের সঙ্গে থাকবেন তিনি।
স্টুয়ার্ট ল’য়ের আগমন প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘এ মাসেই স্টুয়ার্ট আসছেন বাংলাদেশে। এটা খুবই ইতিবাচক হবে দলের জন্য। টিম ম্যানেজমেন্ট যেভাবে চাইবে তাদের সেভাবেই অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হবে। এ জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।’