ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে আশাবাদী জেলেনস্কি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • ১৫ বার

যুক্তরাষ্ট্রে ওভাল অফিসে উত্তপ্ত বৈঠকের পরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করা সম্ভব বলে মনে করছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে তিনি মনে করেন, আলোচনা অব্যাহত থাকা উচিত এবং রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়া উচিত।

যদিও জেলেনস্কি আবারও বলেছেন, শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেইন রাশিয়ার কাছে কোনও অঞ্চল ছাড়বে না। তবে তিনি এও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি সই করতে তিনি এখনও আগ্রহী। যুক্তরাজ্য থেকে রোববার একথা জানান জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আবার তাকে ডাকলে তিনি ফের সেখানে যেতে প্রস্তুত। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি খসড়া শান্তি পরিকল্পনা পাঠানোর বিষয়ে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে রোববারের আলোচনাকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বলেও জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজ থেরেক সরাসরি সম্প্রচারিত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছিলেন, জেলেনস্কি মার্কিন সহায়তা পাওয়ার পরও কৃতজ্ঞ নন। ইউক্রেইনের জন্য ওয়াশিংটনের অব্যাহত সমর্থনকে তিনি সম্মান দেখাননি এবং তার অবস্থান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করছে।

সেদিনকার বৈঠকে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাদানুবাদের পর ইউক্রেইনে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের সমর্থন দিয়ে আসার যে অবস্থান, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর লন্ডন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি তখন ভাল মেজাজে ছিলেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থনের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।

তাছাড়া, গত শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যে হতাশা তৈরি হয়েছে, তা প্রকাশ না করে সতর্কভাবে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টাও করেন জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি বলেন, তিনি মনে করেন না যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে সহায়তা করা বন্ধ করবে। কারণ, সভ্য বিশ্বের নেতারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সুবিধা দিতে চাইবে না। তবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান।

লন্ডন সম্মেলনের পর অনুবাদকের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, “সম্পর্ক পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।”

তবে তিনি এ-ও বলেন, “আমি মনে করি না যে এ ধরনের আলোচনা পুরোপুরি ক্যামেরার সামনে হওয়া উচিত। যা ঘটেছে, তা অংশীদার হিসাবে আমাদের জন্য খুব একটা ইতিবাচক কিছু বয়ে আনেনি।”

এর আগে, লন্ডনে পৌঁছানোর পর দৃশ্যত বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সমবেত সমর্থকদের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান তিনি।

রোববার ইউরোপীয় নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে স্টারমার বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপনের জন্য একটি ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা প্রণয়নে রাজি হয়েছেন।

ওদিকে, ইউরোপের শান্তি পরিকল্পনা উদ্যোগকে ব্যঙ্গ করেছেন রাশিয়ার পার্লামেন্টের প্রভাবশালী সদস্য কনস্তানতিন কোসাচেভ। তিনি টেলিগ্রামে লিখেছেন, “ইউক্রেইন যদি কোনও কিছুর ওপর নির্ভর করে, তবে তা কেবল রুশ-মার্কিন সম্পর্কের গতিপথের ওপরই।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, জানালেন জামায়াত আমির

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে আশাবাদী জেলেনস্কি

আপডেট টাইম : ১১:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে ওভাল অফিসে উত্তপ্ত বৈঠকের পরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করা সম্ভব বলে মনে করছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে তিনি মনে করেন, আলোচনা অব্যাহত থাকা উচিত এবং রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়া উচিত।

যদিও জেলেনস্কি আবারও বলেছেন, শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেইন রাশিয়ার কাছে কোনও অঞ্চল ছাড়বে না। তবে তিনি এও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি সই করতে তিনি এখনও আগ্রহী। যুক্তরাজ্য থেকে রোববার একথা জানান জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আবার তাকে ডাকলে তিনি ফের সেখানে যেতে প্রস্তুত। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি খসড়া শান্তি পরিকল্পনা পাঠানোর বিষয়ে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে রোববারের আলোচনাকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বলেও জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

গত শুক্রবার হোয়াইট হাউজ থেরেক সরাসরি সম্প্রচারিত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছিলেন, জেলেনস্কি মার্কিন সহায়তা পাওয়ার পরও কৃতজ্ঞ নন। ইউক্রেইনের জন্য ওয়াশিংটনের অব্যাহত সমর্থনকে তিনি সম্মান দেখাননি এবং তার অবস্থান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করছে।

সেদিনকার বৈঠকে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাদানুবাদের পর ইউক্রেইনে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের সমর্থন দিয়ে আসার যে অবস্থান, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর লন্ডন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি তখন ভাল মেজাজে ছিলেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থনের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।

তাছাড়া, গত শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যে হতাশা তৈরি হয়েছে, তা প্রকাশ না করে সতর্কভাবে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টাও করেন জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি বলেন, তিনি মনে করেন না যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে সহায়তা করা বন্ধ করবে। কারণ, সভ্য বিশ্বের নেতারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সুবিধা দিতে চাইবে না। তবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান।

লন্ডন সম্মেলনের পর অনুবাদকের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, “সম্পর্ক পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।”

তবে তিনি এ-ও বলেন, “আমি মনে করি না যে এ ধরনের আলোচনা পুরোপুরি ক্যামেরার সামনে হওয়া উচিত। যা ঘটেছে, তা অংশীদার হিসাবে আমাদের জন্য খুব একটা ইতিবাচক কিছু বয়ে আনেনি।”

এর আগে, লন্ডনে পৌঁছানোর পর দৃশ্যত বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সমবেত সমর্থকদের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান তিনি।

রোববার ইউরোপীয় নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে স্টারমার বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপনের জন্য একটি ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা প্রণয়নে রাজি হয়েছেন।

ওদিকে, ইউরোপের শান্তি পরিকল্পনা উদ্যোগকে ব্যঙ্গ করেছেন রাশিয়ার পার্লামেন্টের প্রভাবশালী সদস্য কনস্তানতিন কোসাচেভ। তিনি টেলিগ্রামে লিখেছেন, “ইউক্রেইন যদি কোনও কিছুর ওপর নির্ভর করে, তবে তা কেবল রুশ-মার্কিন সম্পর্কের গতিপথের ওপরই।”