ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুগান্তকারী রায় : বিসিবি সভাপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭
  • ২২০ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এ রায়ে খুশি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ রায়কে যুগান্তকারী বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন তিনি। গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতেই থাকছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল বধবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের নিষ্পত্তি করে দিয়ে পর্যবেক্ষণসহ এ রায় দিয়েছে।
রায়ের পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘আসলে রায় নিয়ে এখন কিছু বলাটা কঠিন। রায়ের কপি এখনো আমাদের হাতে পৌঁছায়নি; ততদিন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। যতটুক বুঝতে পেরেছি শুনেছি অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত একটা ভালো রায় হয়েছে। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইজিএম, এজিএম ডেকে গঠনতন্ত্রে যদি কোনো পরিবর্তন করতে হয় তাহলে আমরা করতে পারবো। এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, আমি মনে করি ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।’
২০১২ সালে বিসিবির গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে বোর্ডকে চিঠি দেয় এনএসসি। ওই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিসিবির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইউসুফ জামিল বাবু ও বিসিবির সাবেক কাউন্সিলর স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অকার্যকর ঘোষণা করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে এনএসসি ও বিসিবি। ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই আদালত তাদের আপিলের অনুমতি দিয়েছিল।
গতকালের রায়ে সেই মামলা খারিজ হয়ে গেছে বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা যে মামলাটা করেছিল সেটি খারিজ। এখানটায় আর কোনো ইস্যু নেই।’
এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্রেই ২০১৩ সালের অক্টোবরে নির্বাচন করে বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়েছিল। নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে ওই গঠনতন্ত্রের অধীনের কাউন্সিলরদের নিয়েই ইজিএম করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যে গঠনতন্ত্রে পাস হয়ে এখানে এসেছি। আমাদের তো এটাই করতে হবে। এছাড়া তো কোনো অপশন নেই।’
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘উনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থান নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। উনি আশা করেছেন আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ অনেক অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এটা তো আমাদের জন্য বিরাট ব্যাপার।’
আগামী ১০ অক্টোবর চার বছর মেয়াদ শেষ হবে বিসিবির বর্তমান বোর্ডের। তাই যথাসময়ে নির্বাচন করতে আশাবাদী বিসিবি সভাপতি। তবে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় থাকছেন তারাও।
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘অবশ্যই আমরা নির্ধারিত সময়ে ইজিএম করবো, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার সাথে সাথেই। আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি। তারিখ ঠিক করে ফেলবো। ৩০ তারিখ আমরা বোর্ড মিটিং ডেকেছি আমরা সব ফাইনাল করে ফেলবো। রায় হাতে পাওয়ার আগে তো কিছু করতে পারবো না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রায়টা চলে আসে তার অপেক্ষায়, তারপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যুগান্তকারী রায় : বিসিবি সভাপতি

আপডেট টাইম : ০৫:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এ রায়ে খুশি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ রায়কে যুগান্তকারী বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন তিনি। গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবির হাতেই থাকছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল বধবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের নিষ্পত্তি করে দিয়ে পর্যবেক্ষণসহ এ রায় দিয়েছে।
রায়ের পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘আসলে রায় নিয়ে এখন কিছু বলাটা কঠিন। রায়ের কপি এখনো আমাদের হাতে পৌঁছায়নি; ততদিন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। যতটুক বুঝতে পেরেছি শুনেছি অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত একটা ভালো রায় হয়েছে। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইজিএম, এজিএম ডেকে গঠনতন্ত্রে যদি কোনো পরিবর্তন করতে হয় তাহলে আমরা করতে পারবো। এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, আমি মনে করি ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।’
২০১২ সালে বিসিবির গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে বোর্ডকে চিঠি দেয় এনএসসি। ওই পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিসিবির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইউসুফ জামিল বাবু ও বিসিবির সাবেক কাউন্সিলর স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অকার্যকর ঘোষণা করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে এনএসসি ও বিসিবি। ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই আদালত তাদের আপিলের অনুমতি দিয়েছিল।
গতকালের রায়ে সেই মামলা খারিজ হয়ে গেছে বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা যে মামলাটা করেছিল সেটি খারিজ। এখানটায় আর কোনো ইস্যু নেই।’
এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্রেই ২০১৩ সালের অক্টোবরে নির্বাচন করে বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়েছিল। নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে ওই গঠনতন্ত্রের অধীনের কাউন্সিলরদের নিয়েই ইজিএম করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যে গঠনতন্ত্রে পাস হয়ে এখানে এসেছি। আমাদের তো এটাই করতে হবে। এছাড়া তো কোনো অপশন নেই।’
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘উনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থান নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। উনি আশা করেছেন আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ অনেক অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এটা তো আমাদের জন্য বিরাট ব্যাপার।’
আগামী ১০ অক্টোবর চার বছর মেয়াদ শেষ হবে বিসিবির বর্তমান বোর্ডের। তাই যথাসময়ে নির্বাচন করতে আশাবাদী বিসিবি সভাপতি। তবে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় থাকছেন তারাও।
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘অবশ্যই আমরা নির্ধারিত সময়ে ইজিএম করবো, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার সাথে সাথেই। আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি। তারিখ ঠিক করে ফেলবো। ৩০ তারিখ আমরা বোর্ড মিটিং ডেকেছি আমরা সব ফাইনাল করে ফেলবো। রায় হাতে পাওয়ার আগে তো কিছু করতে পারবো না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রায়টা চলে আসে তার অপেক্ষায়, তারপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।