ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রমাণ দিলেন হারিয়ে যাননি সজীব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭
  • ২৪৪ বার

হাওর বার্ত ডেস্কঃ  ২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন সজীব হোসেন। সর্বশেষ গড়া রেকর্ড ২.১১ মিটার এখনো পেরোতে পারেননি অন্য কোনো হাইজাম্পার। কিছুদিন হলো এই ইভেন্টে শ্রেষ্ঠত্বটা হারিয়েছেন বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর এই জাম্পার। সুযোগ হয়নি শিলং-গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে। সর্বশেষ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দলেও ছিলেন না সজীব। তাকে টপকে নিয়মিত এসব আন্তর্জাতিক আসরে খেলেছেন একই সংস্থার মাহফুজুর রহমান। জাতীয় চ্যাম্পিয়নও ছিলেন তিনি। কিন্তু দমে যাননি সজীব, গতকাল শুরু হওয়া জাতীয় সামার চ্যাম্পিয়নশিপে সেই মাহফুজকে টপকে আবার শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসলেন সজীব। ১.৯৫ মিটার লাফিয়ে স্বর্ণ জেতেন নৌ বাহিনীর এই জাম্পার। এই ইভেন্টে ১.৯০মিটার লাফিয়ে রৌপ্য জিতেছেন মাহফুজুর। সমান উচ্চতায় লাগিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন বিজেএমসি’র আরিফুজ্জামান রাজু। এদিকে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে মেজবাহ, শরীফুলদের পেছনে ফেলে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশ জেলের সাইফুল ইসলাম খান। মহিলাদের ইভেন্টে সোনা ধরে রেখেছেন সোহাগী আকতার।
দ্বিতীয় সেরা হয়েই জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্সে অংশ নিয়েছিলেন সজীব হোসেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময়ও বার বার তাকে বলতে শুনেছি মাহফুজই ফেভারিট। মুখে হার মানলেও মনের মধ্যে যে ভালো করার একটা তাড়না ছিলো এই জাম্পারের তারই প্রমাণ মিলেছে গতকাল। সজীবের বিশ্বাস এভাবে অনুশীলন চালিয়ে গেলে আবারও পুরনো ছন্দে ফিরতে পারবেন তিনি। অতীতের স্মৃতিচারণ করে সজীব বলেন, ২০১০ এসএ গেমসে ২.১০ মি. লাফিয়ে আমি চতুর্থ হয়েছিলাম। গত এসএ গেমসে ২.০৮ লাফিয়ে পেয়েছি ব্রোঞ্জ। তার মানে আমারও ভালো করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ফেডারেশন উন্নত ট্রেনিংয়ের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় সেটা হয়নি। তারপরেও আমি ভবিষ্য নিয়ে আশাবাদী।
২০১৫ সালে জুনিয়র ১০০ (১০.৫৩) ও ২০০ (২১.৬০) মিটারে রেকর্ড করেছিলেন সাইফুল। ২০১৬ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটারে (২১.৬৬) রূপা জিতেছিলেন এই স্প্রিন্টার। পরীক্ষার কারণে এক মাসের প্রস্তুতি নিয়ে অংশ নিয়েছেন জাতীয় সামার মিটে। অংশ নিয়ে বাজিমাত করলেন সাইফুল। ‘পরীক্ষা ছিল। এক মাসের মতো অনুশীলন করেছি। এই এক মাস কাফি (আবদুল্লাহ হেল কাফি, বিকেএসপি’র কোচ) স্যার অনুশীলন করিয়েছেন। এতেই সফলতা এসেছে। আমার প্রধান ইভেন্ট ২০০ মিটার। কোচ যদি ১০০ মিটারে দৌড়াতে বলেন, আমি চেষ্টা করে দেখব।  এবং আমি বিশ্বাস করি, অনুশীলন করলে মেজবাহ ভাইকে হারানো সম্ভব। ৪০০ মিটার এন্ট্রি আছে। এর আগে আমি থাইল্যান্ডে ২য় এশিয়ান ইয়ুথ খেলতে গিয়েছি, নিজের পারফরমেন্সে নিয়ে বলেন, মেজবাহ ভাই যতদিন ধরে সোনা জিতছে, ততদিন আমি খেলার জগতেই আসিনি। খেলার জগতে আসছি ২০১২ সালে। প্রথমবারের মতো আমি বাংলাদেশ জেলের হয়ে চুক্তিতে খেলছি।  ২১.৫১ সেকেন্ড সময় নিয়ে মেজবাহ ভাইকে হারিয়ে সোনা জেতায় একটু বেশি ভালো লাগছে।
সোনা জেতার পেছনে ভুবনেশ্বরের ট্রেনিংয়ের কৃতিত্ব আছে উল্লেখ করে সাইফুল বলেন, ফেডারেশন যদি ভুবনেশ্বরের মতো আবারও আমাদের ট্রেনিংয়ে পাঠায়, তবে এসএ গেমসে ভালো করা সম্ভব। ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলোতে টাইমিংয়ের উন্নতি করাই মূল লক্ষ্য। যদি সেটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারি, তাহলে এসএ গেমসে নিশ্চয় কোনো না কোনো পদক জিততে পারব। তবে এ জন্য ক্যাম্পে থেকে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই’- যোগ করেন তিনি। ২০০ মিটার স্প্রিন্টের মহিলা বিভাগে বাংলাদেশ জেলের জাকিয়া সুলতানাকে পেছনে ফেলে সোনা জেতেন সোহাগী। ২৫.১০ সেকেন্ড সময় নেন বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর এই স্প্রিন্টার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রমাণ দিলেন হারিয়ে যাননি সজীব

আপডেট টাইম : ১২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্ত ডেস্কঃ  ২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন সজীব হোসেন। সর্বশেষ গড়া রেকর্ড ২.১১ মিটার এখনো পেরোতে পারেননি অন্য কোনো হাইজাম্পার। কিছুদিন হলো এই ইভেন্টে শ্রেষ্ঠত্বটা হারিয়েছেন বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর এই জাম্পার। সুযোগ হয়নি শিলং-গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে। সর্বশেষ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের দলেও ছিলেন না সজীব। তাকে টপকে নিয়মিত এসব আন্তর্জাতিক আসরে খেলেছেন একই সংস্থার মাহফুজুর রহমান। জাতীয় চ্যাম্পিয়নও ছিলেন তিনি। কিন্তু দমে যাননি সজীব, গতকাল শুরু হওয়া জাতীয় সামার চ্যাম্পিয়নশিপে সেই মাহফুজকে টপকে আবার শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসলেন সজীব। ১.৯৫ মিটার লাফিয়ে স্বর্ণ জেতেন নৌ বাহিনীর এই জাম্পার। এই ইভেন্টে ১.৯০মিটার লাফিয়ে রৌপ্য জিতেছেন মাহফুজুর। সমান উচ্চতায় লাগিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন বিজেএমসি’র আরিফুজ্জামান রাজু। এদিকে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে মেজবাহ, শরীফুলদের পেছনে ফেলে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশ জেলের সাইফুল ইসলাম খান। মহিলাদের ইভেন্টে সোনা ধরে রেখেছেন সোহাগী আকতার।
দ্বিতীয় সেরা হয়েই জাতীয় সামার অ্যাথলেটিক্সে অংশ নিয়েছিলেন সজীব হোসেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময়ও বার বার তাকে বলতে শুনেছি মাহফুজই ফেভারিট। মুখে হার মানলেও মনের মধ্যে যে ভালো করার একটা তাড়না ছিলো এই জাম্পারের তারই প্রমাণ মিলেছে গতকাল। সজীবের বিশ্বাস এভাবে অনুশীলন চালিয়ে গেলে আবারও পুরনো ছন্দে ফিরতে পারবেন তিনি। অতীতের স্মৃতিচারণ করে সজীব বলেন, ২০১০ এসএ গেমসে ২.১০ মি. লাফিয়ে আমি চতুর্থ হয়েছিলাম। গত এসএ গেমসে ২.০৮ লাফিয়ে পেয়েছি ব্রোঞ্জ। তার মানে আমারও ভালো করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ফেডারেশন উন্নত ট্রেনিংয়ের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় সেটা হয়নি। তারপরেও আমি ভবিষ্য নিয়ে আশাবাদী।
২০১৫ সালে জুনিয়র ১০০ (১০.৫৩) ও ২০০ (২১.৬০) মিটারে রেকর্ড করেছিলেন সাইফুল। ২০১৬ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০ মিটারে (২১.৬৬) রূপা জিতেছিলেন এই স্প্রিন্টার। পরীক্ষার কারণে এক মাসের প্রস্তুতি নিয়ে অংশ নিয়েছেন জাতীয় সামার মিটে। অংশ নিয়ে বাজিমাত করলেন সাইফুল। ‘পরীক্ষা ছিল। এক মাসের মতো অনুশীলন করেছি। এই এক মাস কাফি (আবদুল্লাহ হেল কাফি, বিকেএসপি’র কোচ) স্যার অনুশীলন করিয়েছেন। এতেই সফলতা এসেছে। আমার প্রধান ইভেন্ট ২০০ মিটার। কোচ যদি ১০০ মিটারে দৌড়াতে বলেন, আমি চেষ্টা করে দেখব।  এবং আমি বিশ্বাস করি, অনুশীলন করলে মেজবাহ ভাইকে হারানো সম্ভব। ৪০০ মিটার এন্ট্রি আছে। এর আগে আমি থাইল্যান্ডে ২য় এশিয়ান ইয়ুথ খেলতে গিয়েছি, নিজের পারফরমেন্সে নিয়ে বলেন, মেজবাহ ভাই যতদিন ধরে সোনা জিতছে, ততদিন আমি খেলার জগতেই আসিনি। খেলার জগতে আসছি ২০১২ সালে। প্রথমবারের মতো আমি বাংলাদেশ জেলের হয়ে চুক্তিতে খেলছি।  ২১.৫১ সেকেন্ড সময় নিয়ে মেজবাহ ভাইকে হারিয়ে সোনা জেতায় একটু বেশি ভালো লাগছে।
সোনা জেতার পেছনে ভুবনেশ্বরের ট্রেনিংয়ের কৃতিত্ব আছে উল্লেখ করে সাইফুল বলেন, ফেডারেশন যদি ভুবনেশ্বরের মতো আবারও আমাদের ট্রেনিংয়ে পাঠায়, তবে এসএ গেমসে ভালো করা সম্ভব। ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলোতে টাইমিংয়ের উন্নতি করাই মূল লক্ষ্য। যদি সেটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারি, তাহলে এসএ গেমসে নিশ্চয় কোনো না কোনো পদক জিততে পারব। তবে এ জন্য ক্যাম্পে থেকে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই’- যোগ করেন তিনি। ২০০ মিটার স্প্রিন্টের মহিলা বিভাগে বাংলাদেশ জেলের জাকিয়া সুলতানাকে পেছনে ফেলে সোনা জেতেন সোহাগী। ২৫.১০ সেকেন্ড সময় নেন বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর এই স্প্রিন্টার।