হাওর বার্তা ডেস্কঃ কর্মজীবী নারীদের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় পর্যায়ক্রমে মহিলা হোস্টেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ইতোমধ্যে ২০টি প্রকল্প পাস হয়েছে। ৬০টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মহিলা হোস্টেলের আসন আরও ২ হাজার ৪৭৫টি বাড়ানোর কাজ চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, শুধু হোস্টেল নয় নারীরা যাতে তাদের শিশু সন্তানকে ডে কেয়ারে রেখে কাজে যেতে পারে সেই উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর পরিচালিত ৪৩টি ডে কেয়ার সেন্টার আছে। আর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরে ৬০টি ডে কেয়ার সেন্টার নির্মাণ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে আরও ৪২৯টি ডে কেয়ার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মহিলা বিষয়ক অধিদফতর সূত্র জানায়, ঢাকায় ৩টি এবং চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও যশোরে একটি করে মোট ৭টি কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল আছে। এতে ১ হাজার ৩৯৯ কর্মজীবী নারী আবাসন সুবিধা পাচ্ছেন। সূত্র জানায়, গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৩০ আসন বিশিষ্ট এবং মিরপুর ও খিলগাঁও হোস্টেলে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে ৫৫৮ আসনের কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণের কার্যক্রম চলছে।
সাভারের বড় আশুলিয়ায় কর্মরত নারী গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ৭৪৪ সিটের হোস্টেল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন সেখানে ভর্তির কাজ চলছে। সাভারের আশুলিয়ায় গার্মেন্টসে কর্মরত নারী শ্রমিকদের জন্য ৭৯৮ আসনের হোস্টেল নির্মাণ হচ্ছে। ঢাকার নীলক্ষেতে কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল সংলগ্ন নতুন ১০তলা ভবনে ২৪৫ আসনের হোস্টেল নির্মাণ হচ্ছে।
এছাড়া মহিলা সংস্থা পরিচালিত সংস্থার ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় বেইলি রোডে ৯তলা থেকে ১২তলা পর্যন্ত কর্মজীবী মহিলাদের নিরাপদ আবাসনের সুবিধা দেয়ার জন্য ২০৭টি আসন বিশিষ্ট ‘শহীদ আইভি রহমান কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল’ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা অধিদফতরের মহাপরিচালক বেগম সাহিন আহমদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেন, নারীদের অধিক হারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সব মিলিয়ে মোট ৭টি হোস্টেল পরিচালিত হচ্ছে। কর্মজীবী নারীদের তুলনায় আসন সংখ্যা খুবই সীমিত জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় মহিলা হোস্টেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।