নিজাম (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদনে জসিম উদ্দিন নামে এক অটো চালকের লাশ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের সামনে বাড়রী-জাওলা সড়কের পশ্চিম পাশে মুখে স্কচটেপ প্যাচানো অটো চালকের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে মদন থানার পুলিশ। নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ছত্রকোণা গ্রামের মৃত জাফর খানের ছেলে। জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুড়বাড়ি টেঙ্গুরি গ্রামে বসবাস করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতি দিনের ন্যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে অটো নিয়ে বের হন জসিম উদ্দিন। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন ছিল। অটো উদ্ধারকারী বাড়রী বাজার ব্যবসায়ী হাদিস মিয়া ঘটনাস্থলের ৫০ গজ দূরে সড়কের উপর থেকে অটোটি উদ্ধার করে বাড়রী বাজারে এক দোকানে রাখে। রাতেই তিনি অটোর ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেন। ফেসবুকের ভিডিও দেখে অটো চালকের বড় ভাই ইউনুছ অটোটি সনাক্ত করে শনিবার সকালে বাড়রী বাজারে আসে এবং ব্যবসায়ী হাদিস মিয়াকে নিয়ে উদ্ধারের স্থানে যান। সেখানে তার ভাইকে খোঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে খাগুরিয়া গ্রামের সামনে বাড়রী-জাওলা সড়কের পশ্চিম পাশে মুখে ও হাত-পায়ে স্কচটেপ প্যাচানো অবস্থায় জসিম উদ্দিনের মৃত দেহ পাওয়া যায়। পরে মদন থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
নিহতের ভাই ইউনুছ জানান, আমার ভাই প্রতিদিন রাতেই মদন-কেন্দুয়া সড়কে অটো চালায়। শনিবার সকালে বাড়িতে না ফেরায় আমরা তাকে খোঁজতে থাকি। ফেসবুকে অটো পাওয়ার ভিডিও দেখে বাড়রী বাজারে আসি। ব্যবসায়ী হাদিস মিয়ার সাথে দেখা করে অটো পাওয়ার স্থানে যাই। সেখানে আমার ভাইয়ের হাত-পা ও মুখে স্কচটেপ প্যাচানো অবস্থায় লাশ পাই।
ব্যবসায়ী হাদিস মিয়া জানান, শুক্রবার রাত ১টার দিকে কলমাকান্দা থেকে বাড়ি আসার পথে খাগুরিয়া গ্রামের সামনের রাস্তায় একটি অটো পাই। কাউকে না পেয়ে অটোটি বাজারে নিয়ে আসি এবং অটোটি ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট করি।
মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, অটো চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।