ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরবাড়ি, মসজিদ ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন ভাঙনের মুখে স্কুল-মাদ্রাসা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭
  • ২৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে  শিবচর উপজেলার তিন  ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদ, ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে স্কুল-মাদ্রাসাসহ অসংখ্য বাড়িঘর।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদের পানি কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় শিবচর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চল কাঁঠালবাড়ি, চরজানাজাত ও আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী সন্ন্যাসীরচরে নদী ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদীভাঙন কাছাকাছি চলে আসায় শিবচরের কাউলিপাড়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও মাদানি কমপ্লেক্স সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। ভাঙন  ঝুঁকিতে রয়েছে চরাঞ্চলের ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়সহ অসংখ্য ঘরবাড়ি। ভাঙনের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরবাড়ি গবাদি পশু সরিয়ে নিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।

এ ছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে সন্নাসীরচর উচ্চ বিদ্যালয়, ৭৬ নম্বর  সন্ন্যাসীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, সেতুসহ অসংখ্য স্থাপনা। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ এখন না খেয়ে জীবন যাপন করছে। সরকারি কোনও সহযোগিতা এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। দূর থেকে কাউকে আসতে দেখলেই ভাঙন কবলিতরা মনে করে এই বুঝি কেউ তাদের জন্য সাহায্য নিয়ে আসছে। সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে পদ্মাবেষ্টিত চরজানাজাত ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের মানুষ।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে পদ্মা নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের কাওলিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফুল ইসলাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ত্রাণ তৎপরতা শুরুর আশ্বাস দেন।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, “নদীভাঙন কবলিতদের জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করি দুই-এক দিনের মধ্যেই আমরা ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারব। ”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘরবাড়ি, মসজিদ ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন ভাঙনের মুখে স্কুল-মাদ্রাসা

আপডেট টাইম : ০৮:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে  শিবচর উপজেলার তিন  ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদ, ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে স্কুল-মাদ্রাসাসহ অসংখ্য বাড়িঘর।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদের পানি কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় শিবচর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চল কাঁঠালবাড়ি, চরজানাজাত ও আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী সন্ন্যাসীরচরে নদী ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদীভাঙন কাছাকাছি চলে আসায় শিবচরের কাউলিপাড়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও মাদানি কমপ্লেক্স সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। ভাঙন  ঝুঁকিতে রয়েছে চরাঞ্চলের ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়সহ অসংখ্য ঘরবাড়ি। ভাঙনের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরবাড়ি গবাদি পশু সরিয়ে নিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।

এ ছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে সন্নাসীরচর উচ্চ বিদ্যালয়, ৭৬ নম্বর  সন্ন্যাসীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, সেতুসহ অসংখ্য স্থাপনা। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ এখন না খেয়ে জীবন যাপন করছে। সরকারি কোনও সহযোগিতা এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। দূর থেকে কাউকে আসতে দেখলেই ভাঙন কবলিতরা মনে করে এই বুঝি কেউ তাদের জন্য সাহায্য নিয়ে আসছে। সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে পদ্মাবেষ্টিত চরজানাজাত ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের মানুষ।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে পদ্মা নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের কাওলিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফুল ইসলাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ত্রাণ তৎপরতা শুরুর আশ্বাস দেন।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, “নদীভাঙন কবলিতদের জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করি দুই-এক দিনের মধ্যেই আমরা ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারব। ”