হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নির্বাচিত মুসলিম সংসদ সদস্যের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড করেছে। বর্তমান পার্লামেন্টে মুসলিম সদস্যের সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এই সাফল্যের ফলে প্রতিটি সফল প্রার্থীদের ভোটে ৬ শতাংশেরও বেশি সমর্থন বেড়েছে। পূর্বের ১২ জন সদস্যের সঙ্গে প্রথমবারের মত বিজয়ী তিন নতুন মুখ যোগ হয়েছে।
লেবার পার্টির ১২ জন মুসলিম সদস্য বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কনসারভেটিভ পাটির তিন মুসলিম সদস্যও তাদের আসনগুলো ধরে রেখেছে।
আশা করা হচ্ছিল যে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা তাদের প্রথম মুসলিম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পথে সফল হবে না। অন্যদিকে, স্কটল্যান্ডের সীমান্তের উত্তরে এসএলপিএলের সমর্থনের ব্যাপক পতনের কারণে একমাত্র মুসলিম এমপি তাসমিনা আহমেদ শেখ তার তার আসন হারান। তা সত্ত্বেও মহিলা মুসলিম সংসদ সদস্যের সংখ্যা ৮ জনে রয়ে গেছে। (২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচন থেকে এই সংখ্যা অপরিবর্তিত আছে) ।
অন্যান্য জায়গায় লেবার পার্টির সমর্থনে ব্যাপক বেড়েছে, বিশেষকরে তরুণ ভোটারদের ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করেছে।
লণ্ডনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য আসন
সবচেয়ে বড় ঝুঁকিপূর্ণ আসন ছিল ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে রুপা হক অপ্রত্যাশিতভাবে টরি পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে ১৭৪ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। এটি ছিল টরি পার্টির অত্যতম টার্গেট আসন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ১৪,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। তার ভোট বেড়েছে ১৪.৫ শতাংশ।
হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনে তার দলীয় সহকর্মী টুলিপ সিদ্দিক জয়লাভ করেন। তার ভোটের ভাগ্যে ১৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
টোটিংয়ে ড. রেশনা আলিম খান লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের প্রাক্তন আসনটি রক্ষার জন্য চাপের মধ্যে ছিলেন। এটি ছিল টরিদের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ নম্বর তালিকাভুক্ত আসন। এটি পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল যে, টরি পার্টির প্রার্থী এই আসনটিতে জয়লাভ করতে যাচ্ছে। কিন্তু তার অর্জন ছিল দ্বিগুণেরও বেশি।
বেথনাল গ্রীন অ্যান্ড বো চতুর্থ মুসলিম মহিলা রুশনারা আলী তার আসন ধরে রেখেছেন। নির্বাচনে তার ভোট বেড়েছে ১০ শতাংশ।
সূত্র: দ্য মুসলিম নিউজ ডটকম ইউকে