হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত দুই ডাক্তারের আপত্তিকর ছবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ ঘটনার পর আলোচিত এক চিকিৎসক থানায় জিডি করেছেন।
জানা গেছে, অনেকদিন ধরেই কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এক পুত্র সন্তানের জনক ওই ডাক্তারের সঙ্গে অবিবাহিত নারী চিকিৎসকের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন নানা গুঞ্জন ও কুৎসা মুখে মুখে প্রচার পাচ্ছিল।
সম্প্রতি আপত্তিজনক অবস্থায় এ দু’জনের কিছু ছবি কে বা কারা অনলাইনে ছড়িয়ে দিলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এ ঘটনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখে মুখরোচক খবর হিসেবে ঠাঁই পায়।
এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে যোগাযোগ করা হলে ওই নারী চিকিৎসক জানান, ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি, নানা গুঞ্জন ও রটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, তিনি ও আমি ঢাকার মিরপুরের পাশাপাশি এলাকার অধিবাসী। ছোটকাল থেকেই তার সঙ্গে ভাইবোনের মতো সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে একজন সহকর্মী হিসেবে আরেকজন সহকর্মীর সঙ্গে যে সম্পর্ক থাকে আমাদের মধ্যেও তাই রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দু’জন প্রচুর রোগী দেখে থাকি। কথা মতো ওষুধ না লেখার কারণে কোনো কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ (এমআর) ক্ষিপ্ত হয়ে এ ধরণের জঘন্য অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে থাকতে পারে। তবে এটা সত্য যে আমার নামে কেউ ফেক আইডি খুলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এজন্যই আমি এ ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানায় একটি জিডি করেছি।
অপরদিকে পুরুষ চিকিৎসক জানান, ছবি ফটোশপে তৈরি করে ফেসবুকে ছাড়ানো হয়েছে।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির রাব্বানী জানান, কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক গত ৭ জুলাই একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি অবহিত আছেন। তিনি ঘটনার পূর্বাপর ইতিবৃত্তসহ একটি জরুরি গোপনীয় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রতিবেদনটি পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. তপন কুমার দত্ত জানান, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ দু’জনের আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে পড়ছে বলে তিনি শুনেছেন। বিষয়টি তিনি সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।