ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুড়িগঙ্গার মতো ধলেশ্বরী দূষণের ক্ষেত্রেও আদালত নিশ্চুপ থাকবে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭
  • ৩১৩ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছে, হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরিত হওয়া ট্যানারি বর্জ্য বুড়িগঙ্গাকে দূষিত করেছে। ওই বর্জ্য একইভাবে ধলেশ্বরী নদীকেও দূষিত করবে। ট্যানারি বর্জ্যে একইভাবে ধলেশ্বরীও যদি দূষণের শিকার হয় তাহলে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের উদ্দেশ্য হবে হতাশাজনক। একইসঙ্গে এ সম্পর্কিত সর্বোচ্চ আদালতের সকল আদেশ ও রায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। রায়ে বলা হয়েছে, বুড়িগঙ্গার মত যদি ধলেশ্বরীও দূষণের শিকার হয় তাহলে আদালত নিশ্চুপ থাকতে পারে না। রাজধানী থেকে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে এ অভিমত দেয়া হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। গতকাল বুধবার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
রায়ে বলা হয়, বাস্তুসংস্থান ভারসাম্যহীন রেখেই হাজারীবাগে চামড়াশিল্প প্রক্রিয়াজাত কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন কারাখানা থেকে বর্জ্য সরাসরি বুড়িগঙ্গায় ফেলা হয়েছে। এই বর্জ্যই বুড়িগঙ্গা দূষণের একমাত্র অন্যতম কারণ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, সাভারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ধলেশ্বরী নদীকে ট্যানারি বর্জ্যের দূষণ থেকে রক্ষার নিশ্চয়তা দিতে অনতিবিলম্বে সেখানে এসটিপি, এসপিজিএস, এবং এসডব্লিউএস প্লান্ট স্থাপন করার।
রায়ে বলা হয়, ট্যানারিগুলোতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করতো তারা বংশ পরম্পরায় এ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা কারখানার আশেপাশের এলাকায় বসবাস করে আসছিল। সাভারে স্থানান্তরের কারণে এসব শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ার পাশাপাশি তাদের জীবিকাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পরবে। তারপরও ট্যানারি স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। কারণ, এর দূষণ ঢাকাকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলেছিলো। তাছাড়া এটি স্বীকৃত যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নগরীর বাতাসের তুলনায় ঢাকার বাতাস বেশি দুষিত। রায়ে ১৫ দিনের মধ্যে সাভারে ট্যানারি কারখানাগুলোতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সংযোগ দিতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিসিককে মোকাবেলা করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বুড়িগঙ্গার মতো ধলেশ্বরী দূষণের ক্ষেত্রেও আদালত নিশ্চুপ থাকবে না

আপডেট টাইম : ১২:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছে, হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরিত হওয়া ট্যানারি বর্জ্য বুড়িগঙ্গাকে দূষিত করেছে। ওই বর্জ্য একইভাবে ধলেশ্বরী নদীকেও দূষিত করবে। ট্যানারি বর্জ্যে একইভাবে ধলেশ্বরীও যদি দূষণের শিকার হয় তাহলে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তরের উদ্দেশ্য হবে হতাশাজনক। একইসঙ্গে এ সম্পর্কিত সর্বোচ্চ আদালতের সকল আদেশ ও রায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। রায়ে বলা হয়েছে, বুড়িগঙ্গার মত যদি ধলেশ্বরীও দূষণের শিকার হয় তাহলে আদালত নিশ্চুপ থাকতে পারে না। রাজধানী থেকে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে এ অভিমত দেয়া হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। গতকাল বুধবার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
রায়ে বলা হয়, বাস্তুসংস্থান ভারসাম্যহীন রেখেই হাজারীবাগে চামড়াশিল্প প্রক্রিয়াজাত কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন কারাখানা থেকে বর্জ্য সরাসরি বুড়িগঙ্গায় ফেলা হয়েছে। এই বর্জ্যই বুড়িগঙ্গা দূষণের একমাত্র অন্যতম কারণ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, সাভারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ধলেশ্বরী নদীকে ট্যানারি বর্জ্যের দূষণ থেকে রক্ষার নিশ্চয়তা দিতে অনতিবিলম্বে সেখানে এসটিপি, এসপিজিএস, এবং এসডব্লিউএস প্লান্ট স্থাপন করার।
রায়ে বলা হয়, ট্যানারিগুলোতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করতো তারা বংশ পরম্পরায় এ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা কারখানার আশেপাশের এলাকায় বসবাস করে আসছিল। সাভারে স্থানান্তরের কারণে এসব শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ার পাশাপাশি তাদের জীবিকাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পরবে। তারপরও ট্যানারি স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। কারণ, এর দূষণ ঢাকাকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলেছিলো। তাছাড়া এটি স্বীকৃত যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নগরীর বাতাসের তুলনায় ঢাকার বাতাস বেশি দুষিত। রায়ে ১৫ দিনের মধ্যে সাভারে ট্যানারি কারখানাগুলোতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সংযোগ দিতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিসিককে মোকাবেলা করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।