হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘ কোনো দল পাঠালে মিয়ানমারে তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। অং সান সুচি সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব কিয়াও জেয়া নামের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যদি তারা তদন্তের জন্য কোনো দল পাঠাতে চায় তবে তাদের মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেওয়ার কোনো কারণ আমরা দেখছি না।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোকে এ অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে কিয়াও বলেন, ‘যেখানে আমাদের অভ্যন্তরীণ তদন্ত এখনও শেষ হয়নি সেখানে কেন তারা অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে?’
গত মার্চে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের অভিযোগ এবং মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জাতিগত দাঙ্গার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত দলের নাম প্রস্তাব করে। ওই সময় সুচি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা তদন্ত দলকে কোনো ধরণের সহযোগিতা করবে না।
গত বছর অক্টোবরে রোহিঙ্গা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের তিনটি চৌকিতে হামলা চালিয়ে ৯ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। এর জের ধরে রাখাইন রাজ্যে সেনাঅভিযান চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেনাবাহিনী শতাধিক লোককে গুলি করে হত্যা, অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। ওই সময় প্রাণ ভয়ে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
ফেব্রুয়ারিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, সম্ভবত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্মূল করতেই ওই সেনা অভিযান চালানো হয়েছিল।
সুচি অবশ্য এসব অভিযোগ ও দাবি প্রত্যাখান করে আসছেন। চলতি মাসে সুইডেন সফরে জাতিসংঘের তদন্তদল মিয়ানমারে প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘের তদন্তদলের কারণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈরীভাব আরও বেড়ে যেতে পারে।