ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শসার অনেক গুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০১৭
  • ৪৪৬ বার

বিষাক্ত পদার্থ দূর করে : দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে দারুণ কাজ করে শসা। নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথর প্রতিরোধসহ বহু উপকার পাওয়া যায়।

ভিটামিন ও পুষ্টি : শসাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন এ, সি, ই, কে, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংকসহ অনেক পুষ্টি উপাদান। এসব উপাদান শরীরকে নানা রোগ থেকে দূরে রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ : শসার নানা উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল নামের তিনটি উপাদান থাকে। জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায় এই তিন উপাদান।

ওজন কমায় : শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরি রয়েছে। ফলে যাঁরা দেহের ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

পানিশূন্যতা দূর : গ্রীষ্মকালে পানির তৃষ্ণা মেটাতে শসা খুবই কার্যকর। একটি শসা প্রায় ৯০ শতাংশ পানি ধারণ করায় খুব দ্রুত আপনাকে সতেজ করে তুলতে পারে। দেহের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে পারে অনায়াসে।

অস্থিসন্ধির ব্যথামুক্তি : শসায় প্রচুর সিলিকা থাকে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক এসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে শরীরের অনেক ধরনের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ : শসার আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

অর্গানিক ফ্যাক্টস অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শসার অনেক গুণ

আপডেট টাইম : ১২:০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০১৭

বিষাক্ত পদার্থ দূর করে : দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে দারুণ কাজ করে শসা। নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথর প্রতিরোধসহ বহু উপকার পাওয়া যায়।

ভিটামিন ও পুষ্টি : শসাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন এ, সি, ই, কে, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংকসহ অনেক পুষ্টি উপাদান। এসব উপাদান শরীরকে নানা রোগ থেকে দূরে রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ : শসার নানা উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল নামের তিনটি উপাদান থাকে। জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায় এই তিন উপাদান।

ওজন কমায় : শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরি রয়েছে। ফলে যাঁরা দেহের ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

পানিশূন্যতা দূর : গ্রীষ্মকালে পানির তৃষ্ণা মেটাতে শসা খুবই কার্যকর। একটি শসা প্রায় ৯০ শতাংশ পানি ধারণ করায় খুব দ্রুত আপনাকে সতেজ করে তুলতে পারে। দেহের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে পারে অনায়াসে।

অস্থিসন্ধির ব্যথামুক্তি : শসায় প্রচুর সিলিকা থাকে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক এসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে শরীরের অনেক ধরনের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ : শসার আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

অর্গানিক ফ্যাক্টস অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব