সিলেট সদর আসনে আওয়ামী লীগ গ্রহণযোগ্য প্রার্থী খুঁজছে। ৭৩ সালের পর সাবেক স্পিকার মরহুম হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীকে দলে এনে এই আসনে ৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ের মুখই দেখেনি ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল।
প্রচলিত আছে আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের এই আসনে যে দল জয়লাভ করে সে দলই সরকার গঠন করে। দেশের প্রধান দুই দলের নেত্রী এখান থেকে নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ আবুল মাল আবদুল মুহিতকে দলে এনে মনোনয়ন দিলে বিএনপির মরহুম সাইফুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। সেবার বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছিল।
এমনকি ৯১ সালের নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের মধ্যে বিএনপির একমাত্র খন্দকার আব্দুল মালিক এই আসনে বিজয়ী হন। সেবার বিএনপি সরকার গঠন করেছিল। ২০০৮ সাল থেকে আবুল মাল আব্দুল মুহিত সদর আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী। আগামী নির্বাচনে তিনি আর প্রার্থী হচ্ছেন না। তার ভাই জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেন এখানে প্রার্থী হবেন এমন খবর চাউর হয়েছিল।
অর্থমন্ত্রী মুহিত কোনো অনুষ্ঠানের গেলে তিনিও সেখানে মঞ্চে উপস্থিত হন। এ নিয়ে স্থানীয়রা রসিকতা করে বলছেন এক টিকিটে দুই ছবি চলছে। অর্থমন্ত্রী নিজে সৎ হলেও গত ৯ বছরে তার আত্মীয় স্বজন রাজনৈতিক নিয়োগের সুবিধাই নেননি ডানে-বায়ে থাকা অনেকের কপালও খুলেছে। তার ভাই ড. আবুল মোমেনকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান করলেও স্থানীয় রাজনীতিতে দলের ভেতরে-বাইরে গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারেননি।
সিলেট সদরের মানুষ দক্ষ-যোগ্য অভিজাত পরিবারের সন্তান না হয় বনেদী রাজনীতিবিদ চায়। এই চিন্তা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সিলেট সদরের জন্য একজন যোগ্য প্রার্থী খুঁজছেন। এই আসনটি তিনি হারাতে চান না বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য বিএনপি থেকে অনেক চাইছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদাকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হোক। না হয় খালেদা নিজেই এই আসন থেকে নির্বাচন করুন। অন্যদিকে খন্দকার আব্দুল মালেকের ছেলে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরও এই আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন বল ধারণা করা হচ্ছে।