ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওর ডুবির জন্য দুর্নীতিকেই দায়ী করলেন বক্তারা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭
  • ২৫৩ বার

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. জাহেদুল হক বলেন,‘ হাওরের ফসল ডুবি ও দুর্যোগ নিয়ে সবাই শুধু তথ্য লিখে নেন। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে কৃষকদের তালিকা চাওয়া হয় আমরা তালিকা প্রদান করি।’
তিনি আরো বলেন,‘হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে হয়নি। ফলে বাঁধ ভেঙে হাওরের ধান তলিয়ে গেছে। হাওরের ফসল রক্ষায় বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ টিম ও অভিজ্ঞ কৃষকদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে।’
সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ড. মো. খায়রুল কবির রুমেন বলেন,‘ হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে। ‘জমি যার, বাঁধ তার’ এই নীতি চালু করতে হবে। কৃষকদের বাঁধ রক্ষার দায়িত্ব দিলে নিজেরা নিজের ফসল রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। বাঁধের কাজ অন্য কাউকে দিয়ে হবে না। বাঁধ নির্মাণ নিয়ে বার বার দুর্নীতি হয়। একেক জন ঠিকাদার ৫-৬টি বাঁধের কাজ নেন। কিন্তু কাজ করেন না। তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের বাঁচাতে দাদন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি সময় টিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান ইকরামুল কবির বলেন,‘পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ ৬৪ ভাগ হয়েছে দাবি করলেও বেশ কয়েকটি বাঁধের কোন কাজই করেনি ঠিকাদার। বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকার কথা পাউবো দাবি করলেও যখন শনির হাওরের বাঁধ ভেঙেছে তখন নদীর পানি বাঁধের তিন ফুট নিচে ছিল।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল হক বলেন,‘ ফসলহানির বিষয়ে সাংবাদিকরা সোচ্চার ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা, ত্রাণ পাচ্ছে অন্যরা। কৃষকদের চিহ্নিত করে সুদমুক্ত কৃষিঋণ দিতে হবে।
বাঁধের ঠিকাদার ছিলেন কুমিল্লার, কাজ করেছে সাব ঠিকাদার। বিশ্বম্ভরপুরের আঙ্গারুলি বাঁধে সঠিক কাজ হয়নি। ২২ লাখ টাকা প্রকল্পের মাত্র ৫ লাখ টাকার কাজ করেছে। ঠিকাদার ও পাউবো বলছেন অতিরিক্ত পানি হয়েছে যার কারণে পানি হাওরে ঢুকেছে। আসলে বাঁধের কাজই হয়নি, বাঁধের কাজ হওয়ার পর হাওরে পানি ঢুকলে কোন কথা ছিলনা। ১০ ভাগও কাজ হয়নি। ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রথা বাতিল করা হোক।’
উন্নয়ন সংগঠন জনকল্যাণের নির্বাহী পরিচালক জামিল চৌধুরী বলেন,‘বাঁধ নির্মাণের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে শুরু থেকেই আমি পানিসম্পদমন্ত্রী, সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীর কাছে বার বার গিয়েছি এবং কথা বলেছি। প্রধান প্রকৌশলীকে বাঁধ দেখতে আসার অনুরোধ করেছিলাম। তিনি বললেন, আমি হাওরে যেতে পারব না, প্রয়োজনে চাকুরি ছেড়ে দেব। বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। বাঁধ সঠিকভাবে নির্মাণ হয়নি, কোথাও বাঁধ উপচে পানি ঢুকেনি। সব বাঁধ ভেঙেই পানি ঢুকেছে। চাপতির হাওরে বাঁধে বাঁশের পরিবর্তে ৫ টাকা মূল্যের বাঁশের আগা দিয়েছে। ফসলহানির পর হাওরে দিনে দিনে অভাব ঘনিয়ে আসছে। প্রকৃত কৃষকরা ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না। কৃষকরা অন্যের বাড়িতে খাচ্ছে। শতভাগ মানুষতে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের খাদ্য দিতে হবে। ’
পরিবেশকর্মী জসিম উদ্দিন দিলীপ বলেন,‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের কাজ নিয়ে পাউবো, পিআইসি ও ঠিকাদার সবাই কোন না কোনভাবে জড়িত। বাঁধ নির্মাণে সঠিক সময়ে কার্যাদেশ ও কাজ শুরু করতে হবে। নতুন ধানের জাত আবিস্কার করতে হবে। ’
সাবেক পৌর কমিশনার সামীম চৌধুরী সামু বলেন,‘ বাঁধ নির্মাণে কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্টভাবে তদারকি করতে হবে। সঠিক সময়ে ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দিতে হবে। ’
সাংবাদিক আল হেলাল বলেন,‘ যারা ঠিকাদারের ভাগিদার সেজে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শহরের বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হোক। বাঁধ না দেয়ার কারণেই অসময়ে হাওর ডুবেছে। শুধু এবছরই নয় প্রতি বছরই পাউবোর বাঁধ নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতি হয়। গত বছরের বাঁধ নির্মাণ দুর্নীতির তদন্ত করা হোক। বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ’
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব বিন্দু তালুকদার বলেন,‘ হাওরে স্লুইস গেইট নির্মাণে পাউবো অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণ করা অনেক স্লুইস গেইট কৃষকের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। অনেক হাওরের কোটি টাকার স্লুইস গেইট মাটি ভরাট হয়ে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। স্লুইস গেইট নির্মাণ বন্ধ করা হোক।’
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক পিযুষ রঞ্জন পুরকায়স্থ টিটু বলেন,‘ হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে পাউবোর ঠিকাদারী প্রথা বাতিল করতে হবে। বাঁধ নির্মাণ ও তদারকিতে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হোক। কারণ অনেক ঠিকাদার হাওরের বাঁধের কাজই করেনি। যতগুলো হাওর ডুবেছে সবগুলোই বাঁধ ভেঙে ডুবেছে, উপচে পড়ে কোন হাওরে পানি ঢুকেনি। ’
সাংবাদিক সেলিম আহমদ বলেন,‘ জামালগঞ্জের সাচনাবাজার ইউনিয়নে ত্রাণের চাল নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। সরকারদলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করছেন। বাঁধ নির্মাণে যারা কাজ করেছে তাদের বিল দেয়া হোক, যারা কাজ করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।’
শাল্লার কৃষক ফজলুর রহমান বলেন,‘ কৃষকরা একমাত্র বোরো ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। হাওরে নিরব দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না।’
ঠিকাদার পার্থ সারথী পুরকায়স্থ বলেন,‘ সব ঠিকারদারকে ঢালাওভাবে দোষারুপ করা হচ্ছে যা মোটেও সঠিক নয়। আমি বাঁধের কাজ করেছি কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, আমি নাকি বাঁধের কোন কাজই করিনি। তদন্ত করে দেখা হোক কাজ করেছি কিনা। আমি কাজ করে থাকলে আমার বিল প্রদান করা হোক। ’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওর ডুবির জন্য দুর্নীতিকেই দায়ী করলেন বক্তারা

আপডেট টাইম : ০৭:৩৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. জাহেদুল হক বলেন,‘ হাওরের ফসল ডুবি ও দুর্যোগ নিয়ে সবাই শুধু তথ্য লিখে নেন। কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে কৃষকদের তালিকা চাওয়া হয় আমরা তালিকা প্রদান করি।’
তিনি আরো বলেন,‘হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে হয়নি। ফলে বাঁধ ভেঙে হাওরের ধান তলিয়ে গেছে। হাওরের ফসল রক্ষায় বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ টিম ও অভিজ্ঞ কৃষকদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে।’
সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ড. মো. খায়রুল কবির রুমেন বলেন,‘ হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে। ‘জমি যার, বাঁধ তার’ এই নীতি চালু করতে হবে। কৃষকদের বাঁধ রক্ষার দায়িত্ব দিলে নিজেরা নিজের ফসল রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। বাঁধের কাজ অন্য কাউকে দিয়ে হবে না। বাঁধ নির্মাণ নিয়ে বার বার দুর্নীতি হয়। একেক জন ঠিকাদার ৫-৬টি বাঁধের কাজ নেন। কিন্তু কাজ করেন না। তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের বাঁচাতে দাদন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি সময় টিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান ইকরামুল কবির বলেন,‘পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ ৬৪ ভাগ হয়েছে দাবি করলেও বেশ কয়েকটি বাঁধের কোন কাজই করেনি ঠিকাদার। বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকার কথা পাউবো দাবি করলেও যখন শনির হাওরের বাঁধ ভেঙেছে তখন নদীর পানি বাঁধের তিন ফুট নিচে ছিল।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল হক বলেন,‘ ফসলহানির বিষয়ে সাংবাদিকরা সোচ্চার ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা, ত্রাণ পাচ্ছে অন্যরা। কৃষকদের চিহ্নিত করে সুদমুক্ত কৃষিঋণ দিতে হবে।
বাঁধের ঠিকাদার ছিলেন কুমিল্লার, কাজ করেছে সাব ঠিকাদার। বিশ্বম্ভরপুরের আঙ্গারুলি বাঁধে সঠিক কাজ হয়নি। ২২ লাখ টাকা প্রকল্পের মাত্র ৫ লাখ টাকার কাজ করেছে। ঠিকাদার ও পাউবো বলছেন অতিরিক্ত পানি হয়েছে যার কারণে পানি হাওরে ঢুকেছে। আসলে বাঁধের কাজই হয়নি, বাঁধের কাজ হওয়ার পর হাওরে পানি ঢুকলে কোন কথা ছিলনা। ১০ ভাগও কাজ হয়নি। ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রথা বাতিল করা হোক।’
উন্নয়ন সংগঠন জনকল্যাণের নির্বাহী পরিচালক জামিল চৌধুরী বলেন,‘বাঁধ নির্মাণের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে শুরু থেকেই আমি পানিসম্পদমন্ত্রী, সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীর কাছে বার বার গিয়েছি এবং কথা বলেছি। প্রধান প্রকৌশলীকে বাঁধ দেখতে আসার অনুরোধ করেছিলাম। তিনি বললেন, আমি হাওরে যেতে পারব না, প্রয়োজনে চাকুরি ছেড়ে দেব। বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। বাঁধ সঠিকভাবে নির্মাণ হয়নি, কোথাও বাঁধ উপচে পানি ঢুকেনি। সব বাঁধ ভেঙেই পানি ঢুকেছে। চাপতির হাওরে বাঁধে বাঁশের পরিবর্তে ৫ টাকা মূল্যের বাঁশের আগা দিয়েছে। ফসলহানির পর হাওরে দিনে দিনে অভাব ঘনিয়ে আসছে। প্রকৃত কৃষকরা ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না। কৃষকরা অন্যের বাড়িতে খাচ্ছে। শতভাগ মানুষতে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের খাদ্য দিতে হবে। ’
পরিবেশকর্মী জসিম উদ্দিন দিলীপ বলেন,‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের কাজ নিয়ে পাউবো, পিআইসি ও ঠিকাদার সবাই কোন না কোনভাবে জড়িত। বাঁধ নির্মাণে সঠিক সময়ে কার্যাদেশ ও কাজ শুরু করতে হবে। নতুন ধানের জাত আবিস্কার করতে হবে। ’
সাবেক পৌর কমিশনার সামীম চৌধুরী সামু বলেন,‘ বাঁধ নির্মাণে কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্টভাবে তদারকি করতে হবে। সঠিক সময়ে ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দিতে হবে। ’
সাংবাদিক আল হেলাল বলেন,‘ যারা ঠিকাদারের ভাগিদার সেজে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শহরের বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হোক। বাঁধ না দেয়ার কারণেই অসময়ে হাওর ডুবেছে। শুধু এবছরই নয় প্রতি বছরই পাউবোর বাঁধ নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতি হয়। গত বছরের বাঁধ নির্মাণ দুর্নীতির তদন্ত করা হোক। বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ’
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব বিন্দু তালুকদার বলেন,‘ হাওরে স্লুইস গেইট নির্মাণে পাউবো অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণ করা অনেক স্লুইস গেইট কৃষকের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। অনেক হাওরের কোটি টাকার স্লুইস গেইট মাটি ভরাট হয়ে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। স্লুইস গেইট নির্মাণ বন্ধ করা হোক।’
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক পিযুষ রঞ্জন পুরকায়স্থ টিটু বলেন,‘ হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে পাউবোর ঠিকাদারী প্রথা বাতিল করতে হবে। বাঁধ নির্মাণ ও তদারকিতে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হোক। কারণ অনেক ঠিকাদার হাওরের বাঁধের কাজই করেনি। যতগুলো হাওর ডুবেছে সবগুলোই বাঁধ ভেঙে ডুবেছে, উপচে পড়ে কোন হাওরে পানি ঢুকেনি। ’
সাংবাদিক সেলিম আহমদ বলেন,‘ জামালগঞ্জের সাচনাবাজার ইউনিয়নে ত্রাণের চাল নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। সরকারদলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করছেন। বাঁধ নির্মাণে যারা কাজ করেছে তাদের বিল দেয়া হোক, যারা কাজ করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।’
শাল্লার কৃষক ফজলুর রহমান বলেন,‘ কৃষকরা একমাত্র বোরো ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। হাওরে নিরব দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না।’
ঠিকাদার পার্থ সারথী পুরকায়স্থ বলেন,‘ সব ঠিকারদারকে ঢালাওভাবে দোষারুপ করা হচ্ছে যা মোটেও সঠিক নয়। আমি বাঁধের কাজ করেছি কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, আমি নাকি বাঁধের কোন কাজই করিনি। তদন্ত করে দেখা হোক কাজ করেছি কিনা। আমি কাজ করে থাকলে আমার বিল প্রদান করা হোক। ’