ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আতিয়ারের বাগানে ৪ কেজি ওজনের বিচিত্র আম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০১৫
  • ৩৪৪ বার

মাগুরার শালিখার শতখালী গ্রামের আতিয়ার রহমানের নার্সারিতে ফলেছে ঢাউস আকৃতির বিচিত্র আম। প্রতিটি আমের ওজন তিন থেকে চার কেজি। আর আমগুলো লম্বায় ১৩ থেকে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত। বিচিত্র এ আম দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ গিয়ে ভিড় করছে আতিয়ার রহমানের নার্সারিতে। কেউ যাচ্ছেন চারা সংগ্রহ করতে।

মেয়ে ইয়াসমিনের নামে এ আমের নাম ইয়াসমিন-১ রেখেছেন আতিয়ার।

আতিয়ার রহমান জানান, তার প্রতিবেশী ইব্রাহীম হোসেন পাঁচ বছর আগে ব্রুনাই থেকে আমের একটি ডাল এনে তার বাড়ির আম গাছে কলম দেন। দুই বছর পর সেই গাছে দেড় কেজি ওজনের কয়েকটি আম ধরে। সেখান থেকে একটি ডাল এনে আতিয়ার নিজের নার্সারিতে একটি ফজলি আমের গাছের সঙ্গে কলম বাঁধেন। গত বছর ওই গাছে ২ কেজি ওজনের ৫টি আম ধরে। এতে উৎসাহিত হয়ে তিনি আম গাছের ব্যাপক পরিচর্যা শুরু করেন। এবার গাছে ১১টি আম ধরেছে যার প্রতিটির ওজন তিন থেকে চার কেজি।

আতিয়ার জানান, শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে এ আম পাকে। মৌসুমের শেষ দিকে পাকে বলে এর দাম পাওয়া যায় ভালো। এছাড়া আমের স্বাদ অনেক মিষ্টি।

তিনি বলেন, গাছটি আরেকটু বড় হলে তিনি এ থেকে চারা তৈরি করবেন। তিনি চান এ আম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ুক।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পার্থপ্রতিম সাহা বলেন, নতুন উদ্ভাবিত এই আমের জাত ছড়িয়ে দিতে আতিয়ার রহমানকে কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আতিয়ারের বাগানে ৪ কেজি ওজনের বিচিত্র আম

আপডেট টাইম : ০৬:২৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০১৫

মাগুরার শালিখার শতখালী গ্রামের আতিয়ার রহমানের নার্সারিতে ফলেছে ঢাউস আকৃতির বিচিত্র আম। প্রতিটি আমের ওজন তিন থেকে চার কেজি। আর আমগুলো লম্বায় ১৩ থেকে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত। বিচিত্র এ আম দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ গিয়ে ভিড় করছে আতিয়ার রহমানের নার্সারিতে। কেউ যাচ্ছেন চারা সংগ্রহ করতে।

মেয়ে ইয়াসমিনের নামে এ আমের নাম ইয়াসমিন-১ রেখেছেন আতিয়ার।

আতিয়ার রহমান জানান, তার প্রতিবেশী ইব্রাহীম হোসেন পাঁচ বছর আগে ব্রুনাই থেকে আমের একটি ডাল এনে তার বাড়ির আম গাছে কলম দেন। দুই বছর পর সেই গাছে দেড় কেজি ওজনের কয়েকটি আম ধরে। সেখান থেকে একটি ডাল এনে আতিয়ার নিজের নার্সারিতে একটি ফজলি আমের গাছের সঙ্গে কলম বাঁধেন। গত বছর ওই গাছে ২ কেজি ওজনের ৫টি আম ধরে। এতে উৎসাহিত হয়ে তিনি আম গাছের ব্যাপক পরিচর্যা শুরু করেন। এবার গাছে ১১টি আম ধরেছে যার প্রতিটির ওজন তিন থেকে চার কেজি।

আতিয়ার জানান, শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে এ আম পাকে। মৌসুমের শেষ দিকে পাকে বলে এর দাম পাওয়া যায় ভালো। এছাড়া আমের স্বাদ অনেক মিষ্টি।

তিনি বলেন, গাছটি আরেকটু বড় হলে তিনি এ থেকে চারা তৈরি করবেন। তিনি চান এ আম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ুক।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পার্থপ্রতিম সাহা বলেন, নতুন উদ্ভাবিত এই আমের জাত ছড়িয়ে দিতে আতিয়ার রহমানকে কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।