নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী (হুজি) বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর দুই সহযোগীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আজ রাত ১০টা ১ মিনিটে কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি করাগারের একই ফাঁসির মঞ্চে একই সময় মুফতি হান্নান ও শরিফ শাহেদুল বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এছাড়া সিলেট কারাগারে কার্যকর করা হয় আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি।
আজ বুধবার রাত ১০টা ১ মিনিটে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে উভয় কারাগারে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুর রহমান। তিনি বলেন, এখন আনুষ্ঠানিকতা চলছে। তাদের লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে। একই সময়ে তিন জঙ্গির দণ্ড কার্যকর করা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, দেলোয়ার হোসেন রিপনের দাফন আজ রাতেই সিলেটে তার গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন করা হবে।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, হান্নান ও বিপুলের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করা চিঠি সোমবার দুপুরে কারাগারে পৌঁছায়। এরপর তাদের ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
গত ২১ মার্চ তাদেরকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনায় উভয় করাগারের কর্মকর্তারা। তখন থেকেই ২১ দিনের আগে নয় ২৮ দিনের পরে নয় এমন দিন গণনা শুরু হয়। আজ ২১ দিন পার হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ফাঁসি কার্যকর করে। এর অংশ হিসেবে আজ তাদের পরিবারের সদস্যদের শেষ দেখা করার জন্য ডাকে করা কর্তৃপক্ষ। আজ রাত ১০ টা ১ মিনিটে তাদের ফাঁসি কার্যকরের জন্য কারা কর্মকর্তা, পুলিশ, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ফাঁসির মঞ্চে যান। আর ১২ জন করে সশস্ত্র কারারক্ষি তাদেরকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যান। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দুটো অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায় কারা ফটকে।
মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায়। প্রায় ১৩ বছর আগে সিলেটে ওই গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটে।