চলচ্চিত্রকে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে চলচ্চিত্রে মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা তুলে ধরতে হবে, যাতে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে নিরন্তর অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে।
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৭ উপলক্ষে রোববার এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। দিবসটি উপলক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকাল কিছু বিপথগামী তরুণ জঙ্গিবাদসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ঝুঁকে পড়ছে যা আমাদের জন্য এক অশনিসংকেত। মানবিক সমাজ গঠনের পাশাপাশি চলচ্চিত্র হয়ে উঠুক জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলসহ অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার- এ আমার প্রত্যাশা।
দিনটিকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, আমি বিশ্বাস করি- দিবসটি উদযাপনের ফলে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের আরও উন্নয়ন ঘটবে, সৃষ্টি হবে জীবনঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র।
জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য নির্মাতাসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন। যা বিনোদনের পাশাপাশি মানবিক উৎকর্ষ সাধনে সহায়ক হয়।
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৭ উপলক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী, নির্মাতা, প্রযোজক, পরিবেশক, দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।