ঠিক এক সপ্তাহ আগে বাসা ভাড়া নেয়ার নাম করে একটি বাড়িতে ঢুকে পরিকল্পনা অনুসারে হত্যা করা হয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো: আলাউদ্দিনকে। এ হত্যার ঘটনায় তার সাবেক প্রেমিকাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বলছে পুলিশ। মঙ্গলবার জেলার রাউজান এবং ভোলা জেলার লালমোহন এলাকা থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রামের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ. আবদুল ওয়ারিশ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ৫ জন জড়িত। এদের একজন নারী, তার নাম রুম্পা। অপর তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন রুম্পার স্বামী ইকবাল। গ্রেপ্তার হওয়া ইকবালের কাছ থেকে নিহত আলাউদ্দিনের মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও একজন পলাতক রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
খুনের কারণ সম্পর্কে মি. ওয়ারিশ বলেন, “আলাউদ্দিন ও ইয়াসমিন আক্তার রুম্পার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে রুম্পার বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু দুজনের ঘনিষ্ঠ সময়ের কিছু ভিডিও চিত্র দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল (প্রতারণা) করে আসছিল আলাউদ্দিন। এরই ফলশ্রুতিতে অতিষ্ঠ হয়ে রুম্পা, তার স্বামী এবং আরও তিনজন মিলে এই হত্যার পরিকল্পনা করে এবং সেজন্য তারা বাসা-ভাড়া নেয়ার নাটক সাজায়”।
হত্যার ঘটনার দিনের বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলছিলেন, বাসা ভাড়ার বিষয়টি ছিল নাটক। চার-পাঁচদিন আগে তারা হত্যার প্ল্যান (পরিকল্পনা) করে। হত্যার আগে একবার তাদের দলের দুয়েকজন সেখানে যায়। হত্যাকাণ্ডের দিন পাঁচজন আগে যায় এবং পরে আলাউদ্দিনকে ফোন করে ডেকে নেয় তারা। এরপর আধাঘণ্টার মধ্যেই তার হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে”।
চট্টগ্রামের বায়েজীদ বোস্তামী থানার কাছাকাছি এলাকায় ভাড়া নেওয়ার কথা বলে একটি বাসায় ঢোকেন এক তরুণীসহ চারজন। বাসা পছন্দ হয়েছে বলে তাঁরা বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে জানান। এর কয়েক ঘণ্টা পর একে একে তারা বাসা থেকে বের হয়ে যান । কিন্তু পরে ওই বাসার টয়লেটে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় আলাউদ্দিনের মরদেহ।