হবিগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্ব নিয়েছেন নির্বাচিত মেয়র জি কে গউছ। ২ বছর ৩ মাস পর বৃহস্পতিবার তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণকালে মেয়র জি কে গউছ আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ৩ বার নির্বাচিত হয়েও পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি।
তার অনুপস্থিতিতে পৌরসভার দেনা হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে পৌরসভার স্থিতি ছিল ১ কোটি ৯৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বর্তমানে স্থিতি আছে ১৪ লাখ ২২ হাজার টাকা। ২০০৪ সালে ঋণ ছিল ৩ কোটি টাকা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমার ভাগ্যই বার বার ঋণের বোঝা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করি। অথচ আমার বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা দেয়া হলেও পৌরসভার দুর্নীতির কোন মামলা দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ আমি দুর্নীতি করিনি, কাউকে দুর্নীতি করতেও দেইনি।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে প্রথম দফায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ১/১১ সরকারের সময় বিভিন্ন মামলায় ৫৯১ দিন তিনি কারাগারে আটক ছিলেন। পরবর্তীতে বর্তমান সরকারের আমলে ২০১১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সর্বশেষ চার্জশিটে তার নাম আসে। একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি কারাগারে আটক থেকেই ৩য় বারের মতো নির্বাচিত হন। কিন্তু কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। সম্প্রতি তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। পরে তিনি উচ্চ আদালত দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার জন্য মামলা করেন। আদালত তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পত্রের প্রেক্ষিতে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাশ।
এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় বিশাল শোডাউন নিয়ে পৌরসভায় আসেন জি কে গউছ। এ সময় পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন। অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাশ তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।