সাবেক রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
সকাল ৮ টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় তিনি বলেন, ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে। যা শুরু করেছিলেন জিল্লুর রহমান। উনার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া থেমে যায়নি। সরকার সময়-সুযোগ মতো ভৈরব জেলা গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, জিল্লুর রহমান একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিক। আজকের দিনে আমরা যখন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিক খুঁজি তখন জিল্লুর রহমান নিজেই তার নিজের উদাহরণ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিল্লুর রহমানের মতো আদর্শ আর নিষ্ঠাবান নেতার চলে যাওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। তার আদর্শ যুগ যুগ ধরে নেতাকর্মীদের প্রেরণা যোগাবে।
তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান এক সময় আওয়ামী লীগের প্রাণভোমরা ছিলেন, আজ তাকে খুব মনে পড়ছে। তিনি আমাদের রাজনৈতিক আর্দশ ছিলেন। তাকে সামনে রেখেই আমরা রাজনীতি করেছি। তার শূন্যতা আমাদের এখনও ভোগায়।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে যুবলীগ, সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছাত্রলীগের মোনাজাত।
এদিকে মৃত্যু বার্ষিকিতে পরিবারের পক্ষ থেকে জিল্লুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত পড়া হয়। এ সময় জিল্লুর রহমানের ছেলে কিশোরগঞ্জ-৬ এর সংসদ সদস্য ও বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ সংগঠন এই নেতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ও রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করে।
এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জিল্লুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, বায়ান্নের ভাষা সংগ্রামী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, মহান মুক্তিযুদ্ধের দক্ষ সংগঠন, আওয়ামী লীগের ৪ বারের সাধারণ সম্পাদক এবং দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ২০১৩ সালে ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান।