ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় বঙ্গবন্ধুর এক রাত কাটানো সেই বাড়ি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৬:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭
  • ৩১৪ বার

: দীর্ঘ ছয় দশক ধরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বহন করে চলেছে শৈলকুপা উপজেলার বাখরবা গ্রামের একটি ঘর। ১৯৫৪ সালের কোন এক সময় এই ঘরটিতে রাত্রি যাপন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে জড়াজীর্ণ অবকাঠমো নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে মাটির ভিটার এই ঘরটি। অথচ শৈলকুপা উপজেলার অধিকাংশ মানুষ জানে না সে ইতিহাস। যারা জানে, তাদের কেউ কেউ এক নজর দেখতে আসে এই ঘরটি।

এখানে এলে কিছুটা হলেও আপনিও হবেন স্মৃতিকাতর। এই ঘরটি তৎকালিন পাকিস্তানের জাতীয়, প্রাদেশিক পরিষদ ও স্বাাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের বসত বাড়ি।

তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের পক্ষে নৌকা প্রতিকের প্রচরণায় তিনি এই অজপাড়াগাঁ বাখরবা গ্রামে এসেছিলেন। বর্তমানে বাড়িটিতে বসবাসকারী অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের ভাতিজা আশফার আহাম্মেদ বেলাল জানান, ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান।

ঝিনাইদহ-শৈলকুপা-হরিনাকুন্ডু আসনে যুক্তফ্রন্টের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ছিলেন তিনি। সেই নির্বাচনে প্রচরণার জন্য বঙ্গবন্ধু এখানে এসেছিলেন। তিনি ট্রেনযোগে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া হয়ে খোকসা আসেন। পারে দলবল নিয়ে গড়াই নদী পার হয়ে বাখরবাতে আসেন। বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করেন। দুপুরে খওয়া-দাওয়া শেষে বিকালে কাতলাগাড়ী বাজারে নির্বাচনী জনসভায় ভাষন দেন। রাতে কামরুজামানের বাড়িতে “গেস্টরুমে” রাত্রি যাপন করেন।

সকালে তিনি ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন ও শেখ আজিজ। বঙ্গবন্ধুর রাতে অবস্থান নেওয়া সেই ঘরটি আজ ইতিহাসের সাক্ষী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শৈলকুপায় বঙ্গবন্ধুর এক রাত কাটানো সেই বাড়ি

আপডেট টাইম : ১২:৫৬:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০১৭

: দীর্ঘ ছয় দশক ধরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বহন করে চলেছে শৈলকুপা উপজেলার বাখরবা গ্রামের একটি ঘর। ১৯৫৪ সালের কোন এক সময় এই ঘরটিতে রাত্রি যাপন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে জড়াজীর্ণ অবকাঠমো নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে মাটির ভিটার এই ঘরটি। অথচ শৈলকুপা উপজেলার অধিকাংশ মানুষ জানে না সে ইতিহাস। যারা জানে, তাদের কেউ কেউ এক নজর দেখতে আসে এই ঘরটি।

এখানে এলে কিছুটা হলেও আপনিও হবেন স্মৃতিকাতর। এই ঘরটি তৎকালিন পাকিস্তানের জাতীয়, প্রাদেশিক পরিষদ ও স্বাাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের বসত বাড়ি।

তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের পক্ষে নৌকা প্রতিকের প্রচরণায় তিনি এই অজপাড়াগাঁ বাখরবা গ্রামে এসেছিলেন। বর্তমানে বাড়িটিতে বসবাসকারী অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের ভাতিজা আশফার আহাম্মেদ বেলাল জানান, ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান।

ঝিনাইদহ-শৈলকুপা-হরিনাকুন্ডু আসনে যুক্তফ্রন্টের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ছিলেন তিনি। সেই নির্বাচনে প্রচরণার জন্য বঙ্গবন্ধু এখানে এসেছিলেন। তিনি ট্রেনযোগে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া হয়ে খোকসা আসেন। পারে দলবল নিয়ে গড়াই নদী পার হয়ে বাখরবাতে আসেন। বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করেন। দুপুরে খওয়া-দাওয়া শেষে বিকালে কাতলাগাড়ী বাজারে নির্বাচনী জনসভায় ভাষন দেন। রাতে কামরুজামানের বাড়িতে “গেস্টরুমে” রাত্রি যাপন করেন।

সকালে তিনি ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন ও শেখ আজিজ। বঙ্গবন্ধুর রাতে অবস্থান নেওয়া সেই ঘরটি আজ ইতিহাসের সাক্ষী।