রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য নেবে রাশিয়া: প্রধানমন্ত্রী

রাশিয়া রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখি হাসিনা। বৃহস্পতিবার তিনি জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও কেন্দ্র নির্মাণকারী দেশ রাশিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে । রাশিয়াই এসব বিপজ্জনক বর্জ্য নিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এত সহজ না। সেই ৬২ সাল থেকেই এর চিন্তা ভাবনা। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে একটি কমিটি করি। রূপপুরে আমরা যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি, সেটা অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। সেখানে যারা কাজ করবে, আমাদের যারা সায়েন্টিস্ট (বিজ্ঞানী) বা টেকনোলজিস্ট, তাদের প্রত্যেকের ট্রেনিং হচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমরা তাদেরকে ট্রেইনিং করিয়ে নিয়ে আসছি।’

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে উঠা উদ্বেগ অযৌক্তিক বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের যে বর্জ্য হবে, সেটা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করার আগে আমি আলোচনা শুরু করি, সেই আলোচনায় আমার প্রথম প্রশ্নটাই ছিল, এই বর্জ্যটার ব্যবস্থাপনা কারা করবে? এটা তারা করবে-এটা তারা আমাদেরকে কথা দিয়েছে। এখন অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, সেখানে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। পৃথিবীর বহু দেশে এ রকম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে।’

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা ব্যক্তিদেরকে নিয়েও সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু মানুষ আছে, তারা নতুন কিছু করতে গেলেই নানা রকম খুঁত ধরতে শুরু করে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এটুকু আমি অন্তত বলতে পারি।’

রামপাল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সুন্দরবন-সুন্দরবন করে অনেকে চিৎকার করছে। অথচ রামপাল সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কাজেই সুন্দরবনে কিন্তু রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোক তো থাকে, কাজ করতে গেলেই নানা ফ্যাকরা ও বাধা দিতে চায়। আমি মিউনিখে গিয়েছিলাম, সেখানে তো শহরের ভেতরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। সেখানে ক্ষতি হচ্ছে না। আমাদের তো দিনাজপুরেই তো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। সেখানে কি ফসল উৎপাদন হচ্ছে না? সেখানকার মানুষগুলো কি সেখানে বসবাস করছে না? আর সেখানে তো একেবারে সাধারণ একটা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর আমরা এখন যেটা করছি, সেটা অত্যন্ত আধুনিক। কাজেই মানুষকে বিভ্রান্ত করা আর কাজে বাধা দেয়া অনেকের চরিত্র, এটা তারা করবেই।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর