ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্যদের নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০১৫
  • ২৯২ বার

২০১৭-এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে  সিরিজটির গুরুত্ব বেড়ে গেছে বাংলাদেশের কাছে। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ের পর যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে জিম্বাবুয়ের ত্রি-জাতির সিরিজ আয়োজনের  ঘোষণায়  পাল্টে গেছে এ চিত্র । তবে  দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ যদি ১টি ম্যাচও জিতে যায় তাহলে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই ট্রাই সিরিজের সমীকরণ বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার পথে কোন বাধাই থাকবে না। এ প্রসঙ্গে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেকগুলো সিরিজ আছে। সেখানে আমাদের সেরাটাই খেলতে হবে। এখন যেভাবে খেলছি সেইভাবে খেলতে থাকলে অন্যরা কি করলো সেটি আমাদের জন্য কোন বিষয় হবে না। অন্যদের ট্রাই সিরিজ নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজেদের সামনের সিরিজগুলোর দিকে জয়ের জন্য চোখ রাখতে হবে।’ ভারতের বিপক্ষে সিরিজের এক সপ্তাহ আগে ইনজুরি ছিটকে দেয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। অনুশীলনে স্লিপে ফিল্ডিংকালে হাতের আঙ্গুলে চোট পান তিনি। ৩০শে জুন দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশ আসছে। তার আগের দিনই মাঠে গড়াবে একটি টি-টোয়েন্টি অনুশীলন ম্যাচ। এর পরদিন থেকে শুরু হবে ট্রেনিং সেশন। তবে এর আগে জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার মাঠে ফিরতে মরিয়া। এরই মধ্যে রিয়াদের হাতের ব্যান্ডেজ খোলা হয়েছে। করা হয়ে এক্স-রেও। কিন্তু এখনও পুরোপুরি ফিট নন তিনি। বিসিবি’র ফিজিও বায়েজিদ ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তার (রিয়াদ) হাতের ব্যান্ডেজ খুলেছি। এক্স-রেও করা হয়েছে। আমি বলতে পারি তা দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজে মাঠে ফিরার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন বিসিবি’র চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।’ গতকাল বিসিবি’র একাডেমি জিমে মানবজমিনকে রিয়াদ বলেন, ‘আমি এখন জিম শুরু করেছি। তবে আমার মাঠের ফেরার সম্ভাবনা কতটা তা আমার চিকিৎসকই ভাল বলতে পারবেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশ সফরে শুরুতে ২টি টি-টোয়েন্টি, ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টেস্ট খেলবে। এর মধ্যে ৩রা জুন ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দুই দলের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ মাঠে গড়াবে। এছাড়াও বাংলাদেশ দলও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে নিজেদের মধ্যে। একটি সূত্র জানায়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মাঠে ফেরা নির্ভর করছে এই দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের উপরই। যদি প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেন তাহলেই ৫ ও ৭ই জুন সিরেজের দুটি টি-টোয়েন্টিতে  দেখা যেতে পারে তাকে। ১০ই জুন থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। বিশ্বকাপে টানা  দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের নজর কাড়েন মাহমুদুল্লাহ। তবে ধারণা করা হচ্ছে ইনজুরি ফেরত রিয়াদকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করবে না বিসিবি।
ভারত সিরিজ খেলতে না পারার আফসোস নেই রিয়াদের। তিনি বলেন, ‘না কোন আফসোস নেই।  যেভাবে দল খেলছে  অবশ্যই আমরা সবাই খুশি। ভারতকে আমরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারাতে  পেরেছি এটা আমাদের ও আমার জন্য বড় আনন্দের বিষয়। শক্তির বিচারে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সমান সমান বলেই মনে করেন রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘দুই (ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা) দলই খুব শক্তিধর। ভারত সিরিজের আত্মবিশ্বাসটা অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কাজে লাগবে।’ ভারতকে পেস আক্রমণে ঘায়েল করা হয়েছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্পিনে ঘায়েল করার পরিকল্পনা। দলের অন্যতম স্পিনার রিয়াদ বলেন, ওদের (দ. আফ্রিকা) ব্যাটিংটা পেস-স্পিনের বিপক্ষে সমান শক্তিধর। আমার মনে হয় আমাদের মনোযোগ দিতে হবে নিজেদের শক্তির দিকে।
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সূচি
টি-২০ সিরিজ (২ ম্যাচ)
৫, ও ৭ জুলাই  (মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম)
ওয়ানডে সিরিজ ( ৩ ম্যাচ)
১০, ১২ জুলাই, (মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম)
ও ১৫ জুলাই (চট্টগ্রাম, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম)
টেষ্ট সিরিজ (২ ম্যাচ)
২১-২৫ জুলাই  (চট্টগ্রাম, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম)
৩০ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট (মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অন্যদের নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই

আপডেট টাইম : ০৭:৫৫:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০১৫

২০১৭-এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে  সিরিজটির গুরুত্ব বেড়ে গেছে বাংলাদেশের কাছে। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ের পর যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে জিম্বাবুয়ের ত্রি-জাতির সিরিজ আয়োজনের  ঘোষণায়  পাল্টে গেছে এ চিত্র । তবে  দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ যদি ১টি ম্যাচও জিতে যায় তাহলে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই ট্রাই সিরিজের সমীকরণ বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার পথে কোন বাধাই থাকবে না। এ প্রসঙ্গে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেকগুলো সিরিজ আছে। সেখানে আমাদের সেরাটাই খেলতে হবে। এখন যেভাবে খেলছি সেইভাবে খেলতে থাকলে অন্যরা কি করলো সেটি আমাদের জন্য কোন বিষয় হবে না। অন্যদের ট্রাই সিরিজ নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজেদের সামনের সিরিজগুলোর দিকে জয়ের জন্য চোখ রাখতে হবে।’ ভারতের বিপক্ষে সিরিজের এক সপ্তাহ আগে ইনজুরি ছিটকে দেয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। অনুশীলনে স্লিপে ফিল্ডিংকালে হাতের আঙ্গুলে চোট পান তিনি। ৩০শে জুন দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশ আসছে। তার আগের দিনই মাঠে গড়াবে একটি টি-টোয়েন্টি অনুশীলন ম্যাচ। এর পরদিন থেকে শুরু হবে ট্রেনিং সেশন। তবে এর আগে জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার মাঠে ফিরতে মরিয়া। এরই মধ্যে রিয়াদের হাতের ব্যান্ডেজ খোলা হয়েছে। করা হয়ে এক্স-রেও। কিন্তু এখনও পুরোপুরি ফিট নন তিনি। বিসিবি’র ফিজিও বায়েজিদ ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তার (রিয়াদ) হাতের ব্যান্ডেজ খুলেছি। এক্স-রেও করা হয়েছে। আমি বলতে পারি তা দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজে মাঠে ফিরার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন বিসিবি’র চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।’ গতকাল বিসিবি’র একাডেমি জিমে মানবজমিনকে রিয়াদ বলেন, ‘আমি এখন জিম শুরু করেছি। তবে আমার মাঠের ফেরার সম্ভাবনা কতটা তা আমার চিকিৎসকই ভাল বলতে পারবেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশ সফরে শুরুতে ২টি টি-টোয়েন্টি, ৩টি ওয়ানডে ও ২টি টেস্ট খেলবে। এর মধ্যে ৩রা জুন ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে দুই দলের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ মাঠে গড়াবে। এছাড়াও বাংলাদেশ দলও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে নিজেদের মধ্যে। একটি সূত্র জানায়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মাঠে ফেরা নির্ভর করছে এই দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের উপরই। যদি প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি খেলতে পারেন তাহলেই ৫ ও ৭ই জুন সিরেজের দুটি টি-টোয়েন্টিতে  দেখা যেতে পারে তাকে। ১০ই জুন থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। বিশ্বকাপে টানা  দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের নজর কাড়েন মাহমুদুল্লাহ। তবে ধারণা করা হচ্ছে ইনজুরি ফেরত রিয়াদকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করবে না বিসিবি।
ভারত সিরিজ খেলতে না পারার আফসোস নেই রিয়াদের। তিনি বলেন, ‘না কোন আফসোস নেই।  যেভাবে দল খেলছে  অবশ্যই আমরা সবাই খুশি। ভারতকে আমরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারাতে  পেরেছি এটা আমাদের ও আমার জন্য বড় আনন্দের বিষয়। শক্তির বিচারে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সমান সমান বলেই মনে করেন রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘দুই (ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা) দলই খুব শক্তিধর। ভারত সিরিজের আত্মবিশ্বাসটা অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কাজে লাগবে।’ ভারতকে পেস আক্রমণে ঘায়েল করা হয়েছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্পিনে ঘায়েল করার পরিকল্পনা। দলের অন্যতম স্পিনার রিয়াদ বলেন, ওদের (দ. আফ্রিকা) ব্যাটিংটা পেস-স্পিনের বিপক্ষে সমান শক্তিধর। আমার মনে হয় আমাদের মনোযোগ দিতে হবে নিজেদের শক্তির দিকে।
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সূচি
টি-২০ সিরিজ (২ ম্যাচ)
৫, ও ৭ জুলাই  (মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম)
ওয়ানডে সিরিজ ( ৩ ম্যাচ)
১০, ১২ জুলাই, (মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম)
ও ১৫ জুলাই (চট্টগ্রাম, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম)
টেষ্ট সিরিজ (২ ম্যাচ)
২১-২৫ জুলাই  (চট্টগ্রাম, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম)
৩০ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট (মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম)