আগামী অর্থবছরে বাজেট প্রণয়নের সময় অবশ্যই ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুডে ওপর উচ্চ হারে ফ্যাট ট্যাক্স নির্ধারণে নজর দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে মন্ত্রী একথা বলেন। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগম কার্য প্রণালীবিধির ৭১ বিধিতে আনিত নোটিশে আগামী বাজেটে ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুডের উপর উচ্চ হারে ফ্যাট ট্যাক্স নির্ধারণ করার দাবি জানান।
নোটিশের জবাবে অর্থ মন্ত্রী এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ জন্য সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর। জাঙ্ক ফুড বেশ সস্তা দামে পাওয়া যায়। সে কারণে জাঙ্ক ফুড অনেক বেশী চলে। এটাও ঠিক যে স্বাস্থ্যের দিক থেকে জাঙ্ক ফুডবা ফাস্ট ফুড স্বাস্থের জন্য উপাদেয় নয়।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য প্রস্তুাব করেছেন, আগামী বাজেটে এই সম্পর্কে আমরা কি কোন রকম ট্যাক্স আরোপের চিন্তা ভাবনা করছি কিনা? সত্যি কথা বলতে কি আমি সেই চিন্তা ভাবনা আগে করিনি। কিন্তু ওনার নোটিশ পাওয়ার পরে মনে হচ্ছে, হয়তো এটির উপর আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারি। মাননীয় সংসদ সদস্য আমাদের এখানে তথ্য দিয়েছেন, ভারতের কেরালায় সাড়ে ১৪% ফ্যাট ট্যাক্স আরোপিত রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলন, বাজেটের বিষয়ে আলোচনা আগামী মাসের শেষ দিকে শুরু করার ইচ্ছা আছে। তাই কাজের মতো কাজ হবে যদি জাঙ্ক ফুডের বিভিন্ন তালিকা ও বিবরণ পাওয়া যায়। কারণ জাঙ্ক ফুড বিভিন্ন রকমের রয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকমের জাঙ্ক ফুড রয়েছে।
প্রস্তাবটি উত্তম দাবি করে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী বাজেট প্রণয়নের সময় সেদিকে (জাঙ্ক ফুড) অবশ্যই নজর দেব। তার আগে জাঙ্ক ফুডকে বিশেষভাবে সংজ্ঞায়িত করা এবং শনাক্ত করা হবে আগামী দুই তিন মাসের কাজ।
জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ এই নোটিশে বলা হয়, প্রক্রিয়াজাত খাবারের পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড খাওযার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এর ফলে অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২% ছাত্র-ছাত্রীর প্রয়োজনের তুলনায় ওজন বেশি। এর মধ্যে ৬% ওবেসিটিতে ভোগে। এসব রোগের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকার খাবার গ্রহণের পাশাপাশি ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড পরিত্যাগ করতে হবে। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ওপর সাড়ে ১৪% হাড়ে ফ্যাট ট্যাক্স আরোপের দাবি জানান তিনি।