মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগানগুলোতে ডাকাত আতঙ্ক উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। দেড় মাসের ব্যবধানে চা বাগান এলাকায় চারটি ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে শমশেরনগর চা বাগানের এক চিকিৎসকের বাংলো ও চা বাগান কোম্পানি বাংলোয় ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।
ডাকাতরা স্বর্ণলংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটে নিয়েছে। ডাকাতি করে পালানোর সময় চা শ্রমিকদের পিটুনিতে এক ডাকাত সদস্য আহত হয়। আহত ডাকাতকে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
শমশেরনগর চা বাগান ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত পৌণে তিনটায় নয় সদস্যের সশস্ত্র ডাকাতদল প্রথমে চা বাগান এলাকার ভিতরে ডানকান ব্রাদার্স কোম্পানি বাংলো লংলা হাউজে প্রবেশ করে নিরাপত্তাকর্মীসহ চা বাগান পাহারাদার মিলিয়ে ৬ জনকে বেঁধে ফেলে।
কোম্পানি বাংলোর দরজা ভেঙ্গে ভিতরে তছনছ করে বাংলোয় ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয়। পরে ডাকাতদল একজন পাহারাদারকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী এই চা বাগানের চিকিৎসক এম আমিনুল ইসলামের বাংলোয় হানা দিয়ে পিছনের দরজা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবশে করে তছনছ করে স্বর্ণালংকারসহ নগদ কিছু অর্থ লুটে নেয়।
চিকিৎসক এম আমিনুল ইসলাম ঘটনার জানান, ডাকাতদল পিছনের দরজা ভাঙ্গার সময় শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করলেও কথা বলতে পারেনি। ওপর দিক থেকে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের বাংলোয় ড্রয়ার ও আলমারি ভাঙ্গনের শব্দ টের পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।
পুলিশি অভিযান টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাবার সময় বিক্ষোব্দ চা শ্রমিকদের লোহার রডের আঘাত ও দায়ের কূপে জীবন মিয়া (৩৫) নামের এক ডাকাত সদস্য গুরুতরভাবে আহত হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাকাত সদস্য জীবন সিলেটের বটেশ্বর এলাকার মন্নান মিয়ার ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ২০দিন পূর্বে শমশেরনগর চা বাগান ক্যামেলিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক আনোয়ারুল হকের বাসায় ডাকাতি সংঘটিত হয়। এর কয়েকদিন পূর্বে একই বাগানের অপূর্ব নারায়নের বাসা ও শমশেরনগর শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ফলে চা বাগানে আতঙ্ক দেখা দেয়।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাসির উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে ডাকাতি ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।