ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তার ভাঙণ ঠেকাতে এলাকাবাসীর পাইলিং স্থাপন সুন্দরগঞ্জে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৭
  • ২৬৮ বার

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙণ ঠেকাতে এলাকাবাসীর পাইলিং স্থাপন করছেন এলাকাবাসী। সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি মৌজার কামারের ভিটা নামক স্থানে বসবাসরত মানুষের গত ১ মাসে এ পর্যন্ত হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমিসহ ৫ শতাধিক বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে যোগাযোগের রাস্তাসহ আরো হাজার হাজার পরিবার। তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গণ অব্যাহত রয়েছে। অবিরাম এই ভাঙ্গন ঠেকাতে এলাকাসী স্ব-স্ব উদ্যোগে পাইলিং স্থাপন করে নদীর গতি ভিন্ন দিক দিয়ে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে নিজ নিজ গাছ, বাঁশ, অর্থ ও শ্রম দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে জহুরুল ইসলাম অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্যসহ ভাঙ্গন কবলিতরা বলেন- অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া বসত-ভিটা, সহায়-সম্বল হারানো মানুষজন নদীর ডানতীর বেঁড়িবাধসহ বিভিন্ন স্থানে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজছেন। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ঐ এলাকার একমাত্র যোগাযোগ রক্ষাকারী সড়ক, ফসলী জমি, বসবাসরত ঘরবাড়িসহ বাস্তভিটা। এসব মানুষজন বর্তমানে একদিকে যেমন নির্ঘুম রাত কাঁটছেন। অন্যদিকে তেমনি শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন। এসময় তারা নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে বর্তমান সরকারের নিকট স্থায়ী সমাধানের দাবী জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তার ভাঙণ ঠেকাতে এলাকাবাসীর পাইলিং স্থাপন সুন্দরগঞ্জে

আপডেট টাইম : ১২:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৭

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙণ ঠেকাতে এলাকাবাসীর পাইলিং স্থাপন করছেন এলাকাবাসী। সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি মৌজার কামারের ভিটা নামক স্থানে বসবাসরত মানুষের গত ১ মাসে এ পর্যন্ত হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমিসহ ৫ শতাধিক বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে যোগাযোগের রাস্তাসহ আরো হাজার হাজার পরিবার। তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গণ অব্যাহত রয়েছে। অবিরাম এই ভাঙ্গন ঠেকাতে এলাকাসী স্ব-স্ব উদ্যোগে পাইলিং স্থাপন করে নদীর গতি ভিন্ন দিক দিয়ে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে নিজ নিজ গাছ, বাঁশ, অর্থ ও শ্রম দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে জহুরুল ইসলাম অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্যসহ ভাঙ্গন কবলিতরা বলেন- অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া বসত-ভিটা, সহায়-সম্বল হারানো মানুষজন নদীর ডানতীর বেঁড়িবাধসহ বিভিন্ন স্থানে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজছেন। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ঐ এলাকার একমাত্র যোগাযোগ রক্ষাকারী সড়ক, ফসলী জমি, বসবাসরত ঘরবাড়িসহ বাস্তভিটা। এসব মানুষজন বর্তমানে একদিকে যেমন নির্ঘুম রাত কাঁটছেন। অন্যদিকে তেমনি শ্রম ও অর্থ ব্যয় করে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন। এসময় তারা নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে বর্তমান সরকারের নিকট স্থায়ী সমাধানের দাবী জানান।